গত ১৯ জুলাই সংসদে বাদল অধিবেশন শুরুর আগের দিনই সামনে চলে আসে পেগাসাস কাণ্ড। তার ফলে বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই এই ইস্যুতে উত্তাল লোকসভা ও রাজ্যসভা। দাবি আদায়ে মোদী সরকারের তুলোধনা করছে বিরোধীরা। যাএ জেরে কার্যত অচল হয়ে আছে সংসদের দুই কক্ষই। এই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার নয়া বিতর্ক সংসদের অভ্যন্তরে। দুই ধাপে ওই দিন মোট ৪৫ মিনিট চলেছে অধিবেশন। তবে লোকসভা টিভির পর্দায় বিরোধীদের বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনা সম্প্রচার হয়েছে মাত্র ৭২ সেকেন্ড। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, সংসদে অ-বিজেপি দলগুলির কেন্দ্র-বিরোধিতার ছবি সারা দেশের মানুষ যাতে দেখতে না পারেন তারই ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, পেগাসাস-কাণ্ড এবং তার পাশাপাশি নয়া কৃষি আইন নিয়ে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই সংসদ উত্তপ্ত। সেই বিক্ষোভের আঁচ ছিল গত শুক্রবারেও। ওই দিন বিরোধী সাংসদরা অধিবেশনের শুরুর দিকে কয়েক মিনিট তাঁদের আসনে ছিলেন। অধ্যক্ষ ওম বিড়লা হিরোশিমা-নাগাসাকিতে নিহতদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর সময় সংযত ছিলেন বিরোধীরা। এরপরেও টোকিও অলিম্পিকে রুপোর পদক জয়ের জন্য কুস্তিগীর রবি কুমার দাহিয়াকে সম্মান জানানোর সময়েও বিরোধীরা আসনে ছিলেন। গোল বাঁধে তারপরেই।
হঠাৎই ডিএমকে, বাম ও তৃণমূল সাংসদরা নিজেদের আসন ছেড়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। এরপর দুপুরে অধিবেশন শুরু হলে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করিয়ে নেয় সরকার। সেই সময়েও বিরোধী সাংসদরা তাঁদের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। যদিও লোকসভার অভ্যন্তরে সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল তার কার্যত সরাসরি সম্প্রচার করা হয়নি। ফলে লোকসভা টিভিতে বিরোধীদের বিক্ষোভ মাত্র কয়েক সেকেন্ড সম্প্রচারে মোদী সরকারকে তুলোধনা করেছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। মোদীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।’