রবিবার রাতে কলকাতায় ফেরার পর এসএসকেএম-এ ভর্তি হয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্ত। সোমবার ঝাড়গ্রাম সফরের আগে তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যান মমতা। সেখানেই বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, ‘বিপ্লব দেবের অত সাহস নেই। অমিত শাহের নির্দেশেই হামলা হয়েছে।
এদিন সকাল ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ অরূপ বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন মমতা। সোজা চলে যান উডবার্ন ওয়ার্ডে। সেখানেই ভর্তি আছেন সুদীপ এবং জয়া। মিনিট পনেরো সেখানে ছিলেন মমতা। তারপর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘ওদের উপর পাথর ছোঁড়া হয়েছে। গুলি চালানো হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তার পর ৩৬ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা হয়নি। এমনকি জলও দেওয়া হয়নি। পুলিশের সামনেই এই হামলা হয়েছে’।
এরপ্রই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন মমতা, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে সবটা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া বিপ্লব দেবের এত সাহস হত না। সেদিন বুলেট প্রুফ গাড়ি না থাকলে অভিষেকের মাথা গুঁড়িয়ে যেতে পারত। ত্রিপুরা, বাংলার পাশের রাজ্য। সব বিষয়ে সাহায্য করা হয়। যতই মারুক ত্রিপুরা জয় করবই।’
শনিবার ত্রিপুরায় দেবাংশু-সুদীপদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই রাতভর খোয়াই থানায় ধর্ণা দেন তাঁরা। রবিবার সকালে মহামারী আইন ভঙ্গের অভিযোগে ১৪ জন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপ্রই যুব নেতাদের পাশে দাঁড়াতে ত্রিপুরা যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলেই ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান তাঁরা। রাতে কলকাতায় ফিরে এসএসকেএম-এ ভর্তি করানো হয় তাঁদের।