যাবতীয় শক্তি ব্যবহার করেও বঙ্গ নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। বিপুল আসনে জিতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার। তবে এবার রাজ্যের বাইরেও নিজেদের ছড়িয়ে দিতে তৎপর ঘাসফুল শিবির। আর সেই লক্ষ্যে ত্রিপুরার পর এবার আসামেও নিজেদের শক্তি বাড়াতে চায় তৃণমূল। আর সেজন্য আসামের কৃষক নেতা অখিল গগৈয়ের দলকে টানতে আগ্রহী এ রাজ্যের শাসক দল।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, এবার রাজ্যের বাইরেও নিজেদের প্রভাব বিস্তার করবে তৃণমূল। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিজেপি-শাসিত ত্রিপুরা সফর তারই প্রমাণ। আর শুধু ত্রিপুরা নয়, বিজেপি-শাসিত উত্তর-পূর্বের আরেক রাজ্য আসামের দিকেও এবার নজর ঘাষফুল শিবিরের। আর সেক্ষেত্রে ওই রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে তৃণমূলের অন্যতম হাতিয়ার হতে চলেছেন কৃষক নেতা অখিল গগৈ। সম্প্রতি স্থানীয় সাংবাদিকদের রাইজোর দলের প্রধান অখিল গগৈ জানিয়েছেন, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে হঠাতে আঞ্চলিক দলগুলি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জোট বাঁধতে চায়। এমনকী তাঁর দলের সঙ্গে তৃণমূল জোট বাঁধার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নাকি তাঁকে আহ্বানও জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আসামে তৃণমূলের যে রাজ্য কমিটি হবে, তাতে অখিল গগৈকে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ আসামের এই নির্দল বিধায়কের কথায়, ‘যাঁরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস রাখেন, তাঁদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবজাগরণের প্রতীক৷ বিজেপি, আরএসএস-এর সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন’৷
সূত্রের খবর, সম্প্রতি কলকাতায় এসে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও নাকি সেরেছেন অখিল গগৈ। যদিও তাঁর বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও বিবৃতিও দেওয়া হয়নি। এই মুহূর্তে আসামে বেশ পরিচিত মুখ অখিল। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার পর দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার হন অখিল৷ জেলে থাকাকালীনই রাজনৈতিক দল গঠন করেন৷ এর পর চলতি বছরের নির্বাচনেই শিবসাগর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তরুণ এই নেতা৷ সেই কারণে আসামে সংগঠন বিস্তারে অখিলকে সঙ্গে নিতে আগ্রহী তৃণমূল৷ কবে অখিল তৃণমূলে যোগ দেবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ কিন্তু সেই সম্ভাবনা যে প্রবল, তা অখিলের কথাতেই স্পষ্ট৷