বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জার্নাল ল্যানসেট ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ হিসেবে কুম্ভমেলাযর ধর্মীয় জমায়েত কে দায়ী করেছে। দ্বিতীয় ঢেউ যখন চূড়ান্ত পর্যায় তখন দলে দলে পুণ্যার্থী কুম্ভমেলায় যোগদান করেন। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ধর্মকেও সম্মান গুরুত্ব দিয়ে নিজের সাফাই দেয় বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড সরকার। এবার সেই কুম্ভমেলায় ভুয়ো কোভিড পরীক্ষার নামে কোটি কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ সামনে এল। শনিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ভুয়ো কোভিড পরীক্ষা এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে উত্তরাখণ্ডের পাঁচটি ডায়গনস্টিক সেন্টারের দফতর এবং সংস্থাগুলির কর্তাদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ড পুলিশের দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ।
তল্লাশি অভিযানে জাল পরীক্ষার রসিদ, কম্পিউটার, জাল বিল, মোবাইল ফোন এবং বেআইনি অর্থ লেনদেনের নথি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। সংশ্লিষ্ট পাঁচ সংস্থা ভুয়ো কোভিড-১৯ পরীক্ষার মাধ্যমে অন্তত ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, কুম্ভমেলায় আগত পূণ্যার্থী এবং সন্তদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট পাঁচটি ডায়গনস্টিক সেন্টারকে বরাত দিয়েছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। অভিযোগ, পরীক্ষা না করেই দেদার জাল করোনা পরীক্ষার শংসাপত্র বিলি করেছে ওই পাঁচটি সংস্থা। ভুয়ো শংসাপত্রের জেরে সে সময় হরিদ্বারের ‘পজিটিভিটি রেট’ খাতায়-কলমে ০.১৮ শতাংশ দেখানো হয়েছিল। যদিও সে সময় তা কার্যক্ষেত্রে তা ছিল ৫.৩ শতাংশ।