জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে দিল্লী সফরে গিয়ে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমলনাথ, অভিষেক মনু সিংভি, ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি, আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। টেলিফোনে কথা বলেছেন লালুপ্রসাদ যাদব এবং শারদ পাওয়ারের সঙ্গে। এবার তাঁর পরের দিল্লী সফরে এসে কনস্টিটিউশন ক্লাবে কিষান কনভেনশন করতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ফের দিল্লী সফরে যাবেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূললর রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে সম্ভবত আবার দিল্লী আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তিনি দিল্লীর কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে এবং কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন। যার নাম দেওয়া হতে পারে ‘কিষান কনভেনশন’।
দোলা সেন আরও জানিয়েছেন, এবার দিল্লীতে এলে মুখ্যমন্ত্রী যেতে পারেন গাজীপুর, টিকরি বর্ডার এবং যন্তর মন্তরে। ওই জায়গাগুলিতে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি। তাঁর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষক আন্দোলন এবং কৃষির জন্য লড়াইয়ের কথা সমগ্র দেশ জানে। সিঙ্গুর আন্দোলন বিশ্বে সাড়া সাড়া ফেলেছিল। আন্দোলন ও লড়াইয়ের মধ্য থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জননেত্রী হয়ে উঠেছেন। এখন যখন দেশের রাজধানীর বুকে কৃষকরা আন্দোলনে বসেছেন তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের পাশে দাঁড়াবেন। কিছুদিন আগে কলকাতায় নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছেন সংযুক্ত কিষান মোর্চার সভাপতি রাকেশ টিকায়েত এবং ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক যুধবীর সিং। তাদের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন পরবর্তী দিল্লী সফরে এসে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করবেন তিনি। যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হবে অবিজেপি দলগুলির নেতাদের।’