একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এবার তাদের পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে ২০২৩ সালে। আর সেই ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করে বাংলার পাঁচ নেতাকে ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরি এবং প্রসারের দায়িত্ব দিল কালীঘাট। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা হলেন পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। এঁদের অধিকাংশকেই সাম্প্রতিক সময়ে এক বা একাধিক বার ত্রিপুরায় দেখা গিয়েছে। এঁদের মাথায় থেকে ত্রিপুরার সংগঠনের দেখভাল করবেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক নিজে এখন থেকে প্রতি মাসে দুই থেকে তিন বার ত্রিপুরা সফরে যাবেন বলে ঠিক হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পাঁচ নেতা ত্রিপুরায় ঠিক কী কী কাজ করছেন, কী ভাবে কাজ করছেন তাও খতিয়ে দেখবেন তিনি। সংগঠন বিস্তারে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, পাঁচ নেতার নির্দিষ্ট কর্মসূচীও স্থির করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রতি মাসে অন্তত তিন দিন করে তাঁদের ত্রিপুরার সংগঠনকে সময় দিতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পাঁচ নেতার এক জনের কথায়, ‘রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি করেই আমাদের ত্রিপুরা পাঠানো হচ্ছে। কী কী কাজ কী ভাবে করতে হবে তা-ও বলে দেওয়া হয়েছে। কাজ করতে খুব একটা অসুবিধা হবে না।’
আপাতত কয়েকটি কাজে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে পাঁচ নেতাকে। আগরতলা এবং ত্রিপুরার অন্যত্র বিজেপি সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগঠিত করাতে হবে। রাজ্য, জেলা এবং ব্লক স্তরের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত সাংগঠনিক বৈঠক করতে হবে। নেতাদের তিন দিনের সফরে একটি করে সাংবাদিক সম্মেলন করতে হবে। সেখানে বিপ্লব দেব সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরতে হবে। এর সঙ্গে কেন্দ্রের মোদী সরকার কীভাবে দেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তাও তুলে ধরা হবে ত্রিপুরার মানুষের সামনে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এছাড়া, বাংলায় ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কী জনমুখী প্রকল্প নিয়েছেন, এবং রাজ্যের মানুষকে সরাসরি কি ধরনের পরিষেবা দিয়েছেন, তাও তুলে ধরা হবে।