গেরুয়াবাহিনীকে ধরাশায়ী করে বিজেপির দখলে থাকা পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েতও তৃণমূলের দখলে চলে এল। ফলে বামনগোলায় এখন থেকে উড়বে সবুজ আবির। মালদার আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লকে বিজেপির ঘরে ভাঙন ধরালো তৃণমূল। এমনিতেই মালদায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। মালদার আদিবাসী অধ্যুষিত বামনগোলা ব্লকের বিজেপির গড়ে ফের ভাঙন ধরিয়ে তাঁরা বিজেপিশূণ্য করার দিকে আরও একধাপ এগোলো।
এদিনই বিজেপির দখলে থাকা পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েতও তৃণমূলের দখলে চলে এল। শুক্রবার পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে ছিল প্রধান এবং উপপ্রধান গঠনের প্রক্রিয়া । আর সেই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ দেখিয়ে প্রধান এবং উপপ্রধান গঠন করল। এর ফলে ধরাশায়ী হলো বিজেপি। কারণ এই গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে ছিল এতদিন । কিন্তু কয়েকদিন আগে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি দলের পাঁচজন এবং বামফ্রন্টের একজন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন।
আর তার পরে এদিন প্রধান গঠনের প্রক্রিয়া নির্দেশ দেয় প্রশাসন। সেই নির্দেশ মেনে এদিন পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল দলের প্রধান হয়েছেন সুশীল মন্ডল এবং উপপ্রধান হয়েছে মাইনু মারডি। এদিকে এদিন পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি ধরাশায়ী হওয়ার পর তৃণমূলের দখলে চলে আসায় সবুজ আবির খেলায় মেতে ওঠেন দলের নেতাকর্মীরা। ফুলের মালা পরিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের বরণ করে নেন বামনগোলা ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।
বামনগোলা তৃণমূল ব্লক সভাপতি অশোক সরকার জানিয়েছেন , মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় যেভাবে উন্নয়নের জোয়ার এনে দিয়েছেন , তা দেখেই এখন দলে দলে বিজেপি নেতাকর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লকে এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে, আর সেটা দেখেই বিজেপি দল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট দলের পঞ্চায়েত সদস্য নেতাকর্মীদের মধ্যে। এদিন পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েত একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় দখল করা হয়েছে।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ২৪। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ১৪টি আসন পেয়ে বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করেছিল। তৃণমূল পেয়েছিল ৯টি আসন এবং বামফ্রন্ট পেয়েছিল একটি আসন। কিন্তু আদিবাসী এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন দেখেই কিছুদিন আগেই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি দলের পাঁচজন সদস্য এবং বামফ্রন্টের একজন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। আর তারপরই এদিন পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সেখানেই ১৫ – ৯ ভোটের ব্যবধানে বিজেপিকে ধরাশায়ী করে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে অবশেষে দীর্ঘদিন পর পাকুয়াহাট গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করলো তৃণমূল।