বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরাতে বিভাজনের নীতি নিয়েছে মোদী সরকার। আগেই এই অভিযোগ তুলেছিল দেশের বিরোধীরা৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের ঐক্যের বন্ধনই সংসদের ভিতরে ও বাইরে ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে বলে দাবি করছেন তারা। এবার যেমন সংসদে ফের দেখা গেল বিরোধী ঐক্যের ছবি। শুক্রবার অধিবেশন শুরুর আগেই রাহুল গান্ধীর ডাকা বৈঠকে একজোট বিরোধী শিবির। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে ডাকা ওই কৌশল বৈঠকে মোট ১৪টি বিরোধী দলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে যোগ দিয়েছে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন এনসিপি, ডিএমকে, আরজেডি, শিব সেনার মতো দলের প্রতিনিধিরা।
সংসদের অধিবেশন চলাকালীন বিরোধী শিবিরের এই ধরনের বৈঠক নতুন কিছু নয়। তবে, বাদল অধিবেশনে যেভাবে লাগাতার পেগাসাস, কৃষি আইন ও অন্যান্য ইস্যুতে বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এবং তাতে বিরোধী শিবিরে যে সমন্বয় চোখে পড়ছে, সেই প্রেক্ষিতে এই বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস সখ্যই বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে বিরোধী শিবিরকে। বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদদের সাসপেন্ড ইস্যু নিয়ে রাজ্যসভার অন্দরে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে। আজ কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে দিল্লীর যন্তরমন্তরে মিছিল করে গিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদরা। কংগ্রেসের ডাকে সাড়া দিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদরাও। তৃণমূলের তরফে দোলা সেন, অপরূপা পোদ্দার এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়রা যন্তরমন্তরে কিষাণ সংসদে গিয়ে হাজির হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, সংসদ অধিবেশনের মধ্যে বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সংসদের অচলাবস্থার জট কাটানোর জন্য কংগ্রেস এবং তৃণমূলের কাছে রাজ্যসভার দলনেতা পীযূষ গোয়েল নিজেদের মধ্যে আলোচনার বার্তা দিলেও তা খারিজ করে দিয়েছে দুই দলই। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েন জানিয়েছেন, ‘ব্যাকচ্যানেলে আলোচনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই সমস্ত আলোচনার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। ওরা একরকম কথা মুখে বলে, আর কাজে করে আরেক রকম। আমরা তো কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চা নই। পেগাসাস নিয়ে আলোচনার দাবি থেকে আমরা তথা বিরোধীরা কোনও ভাবেই সরে আসছি না।’