বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরাতে বিভাজনের নীতি নিয়েছে মোদী সরকার। আগেই এই অভিযোগ তুলেছিল দেশের বিরোধীরা৷ তাদের দাবি, সেই চেষ্টা জারি থেকেছে বৃহস্পতিবারও। যদিও তা সত্ত্বেও দিনের শেষে তাদের ‘ঐক্যের বন্ধনই’ সংসদের ভিতরে ও বাইরে ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে বলে বিরোধীদের অভিমত।
শুক্রবার সকাল দশটায় রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের সংসদীয় কক্ষে সমস্ত বিরোধী দলের প্রতিনিধি সাংসদরা বৈঠকে বসবেন। থাকবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। অংশ নেবে তৃণমূলও। রাজনৈতিক সূত্রে খবর, পেগাসাস-কাণ্ডের আলোচনার দাবিতে সংসদ অচল করার পরে যন্তরমন্তরে কিসান সংসদের মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ ভাবে যাবেন বিরোধী দলের সাংসদরা। তৃণমূলেরও তাতে যোগ দেওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা।
গতকাল সকালে রাজ্যসভায় যখন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহ গত কালের কাচভাঙা-কাণ্ডের নিন্দা করছেন, তখন উঠে দাঁড়াতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা খাড়গেকে। বুধবার তৃণমূলের ছ’জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার সূত্র ধরে হরিবংশের আজকের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় তাঁকে।
খাড়গে ডেপুটি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি সংসদীয় আইন অনুযায়ী গত কাল অধিবেশনের বাকি সময়টুকুর জন্য তৃণমূলের ছ’জনকে সাসপেন্ড করেছিলেন। আইন অনুযায়ী, সংসদীয় অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ার পরে তাঁদের ঢুকতে আর কোনও বাধা নেই। কিন্তু তাঁরা যখন অধিবেশন মুলতুবির পরে নিজেদের কাগজপত্র ও ব্যাগ নিতে কক্ষে আসতে চেয়েছিলেন, তখনও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। আপনি অন্যায়কে সমর্থন করছেন।’
এর পরেই চিৎকার শুরু হয় ট্রেজারি এবং বিরোধী বেঞ্চে থেকে। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন খাড়গের এই ভিডিয়ো টুইট করেছেন। তাঁর কথায়, ‘কংগ্রেস সাংসদ তথা রাজ্যসভার বিরোধী নেতা যে ভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে বিরোধী ঐক্যের চেহারা স্পষ্ট।’ তাঁর দাবি, এই ঐক্য ভাঙার ও তৃণমূলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা প্রবল ভাবে চালাচ্ছে মোদী সরকার।