প্রয়াত সিমিএম নেতা অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাসকে সিপিএম ব্ল্যাকমেল করছে। এমনই অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের মুখপত্রে উত্তর সম্পাদকীয় লেখার পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। তার শেষ কিস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসাও করেন অজন্তা। এ নিয়ে তাঁকে শো-কজ করে সিপিএম। তার জবাবও দিয়েছেন অনিল-কন্যা। তবে সেই জবাবে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট খুব সন্তুষ্ট নয় বলেও জানা গিয়েছে। আগেই অজন্তার হয়ে সওয়াল করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল। শুক্রবার আক্রমণ করলেন সিপিএমকে। তিনি টুইটারে লিখেছেন, “পারিবারিক অসুস্থতার মধ্যে লেখিকাকে চাপ দিয়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে লেখিকার চিঠি আদায় করা যায়। মন পাওয়া যায় না। ওদের মরিয়া লম্ফঝম্প দেখে হাসি পাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, অনিল বিশ্বাসের স্ত্রী তথা অজন্তার মা গীতা বিশ্বাস খুবই অসুস্থ। সদ্যই হাসপতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। কুণালের বক্তব্য, “এমন পারিবারিক সমস্যার মধ্যে অজন্তাকে চাপে ফেলা হচ্ছে। শুধু চিঠি দেওয়াই নয়, তাঁকে বার বার ফোন করা হচ্ছে।” সূত্রের খবর, তৃণমূলের মুখপত্রে তিনি কেন লিখেছেন তা জানতে চেয়ে দলের চিঠি পাওয়ার পরে সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটিকে জবাব দিয়েছেন অজন্তা। জানা গিয়েছে, সেই চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এমন ধরনের কোনও কাজ থেকে তিনি বিরত থাকবেন।
অজন্তার ওই নিবন্ধ প্রকাশ শুরু হতেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়। বিধানসভা ভোটে একটিও আসনে জয় না-পাওয়া সিপিএম যখন বেনজির সঙ্কটে তখন অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেয় অজন্তার কলমে মমতার গুণগান। তবে লেখা শুরু করার পরেই অজন্তা জানিয়েছিলেন, তাঁর লেখায় কেউ মানসিক ভাবে আহত হয়ে থাকলে তিনি দুঃখিত। গত ৩১শে জুলাই অজন্তাকে শো-কজ করে সিপিএম। পরের দিনই সরব হয়েছিলেন কুণাল। তিনি টুইটে লিখেছিলেন, “যারা প্রয়াত অনিল বিশ্বাসকে টেনে অজন্তাকে কুৎসিত আক্রমণ করছে, তারা মনে রাখুক একাধিক সিপিএম ও বাম নেতা একাধিক কারণে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের একান্ত ব্যক্তিগত অনুরোধও নেত্রী রক্ষা করেছেন। সেগুলো লেখা রুচিবিরুদ্ধ। কিন্তু বাধ্য করবেন না।”