একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এবার তাদের পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা। ইতিমধ্যেই আসামের শিবসাগরের বিধায়ক তথা আসামের সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের নেতা অখিল গগৈকে দলে টানতে কোমর বেধে নেমেছে বাংলার শাসকদল। আসামে তৃণমূলের সভাপতি করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে তাঁকে, এমনটাই দাবি করেছেন খোদ অখিল।
প্রসঙ্গত, অসমের শিবসাগরের বিধায়ক তথা রাজৌর দলের নেতা অখিল গগৈকে দলে যোগদানে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বের তরফে। এমনকী রাজৌর দলের প্রতিনিধিরা দু’বার কলকাতায় কালীঘাটের দফতরে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে এলে সেই বৈঠকে প্রথমে তাঁদের সরাসরি তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। এবার প্রকাশ্যেই অখিল জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আগামী প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান তিনি।
সংবাদমাধ্যমের কাছে অখিল বলেন, আমাকে তৃণমূলের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলেছি। সম্প্রতি আমি কলকাতায় গিয়ে আলোচনা করেছি। ওঁরা আমাকে আসামের তৃণমূল সভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কথা চলছে, খুব শীঘ্রই আমার মতামত জানিয়ে দেব। তিনি এ-ও বলেন, আমরা সকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবাসি। কারণ তিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর স্বার্থে ফ্যাসিস্তদের বিরুদ্ধে লড়ছেন। তাঁর দাবিগুলি ন্যায্য। আমরা তাঁকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছি। আমরা চাই আঞ্চলিক দলগুলি জোট বাঁধুক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হোন।
প্রসঙ্গত, আসামের রাজনীতিতে অখিল পরিচিত নাম। আসামের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর আত্মপ্রকাশ ২০১৯ সালে মোদী সরকারের আনা নাগরিক সংশোধনী আইনের বিরোধী আন্দোলন করে। সেই আন্দোলনের জেরে কারাবাসও করতে হয়েছিল তাঁর। মধ্য চল্লিশের অখিল গত দু’দশক ধরে সমাজকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। ‘ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশন’ সংগঠনকে সামনে রেখে ভারতীয় রাজনীতিতে দুর্নীতি রুখতে আসামে ব্যাপক আন্দোলন করেছিলেন তিনি। ওই রাজ্যের কৃষকদের দাবি আদায়ের জন্য ‘কৃষক মুক্তিসংগ্রাম সমিতি’ গড়েও সরব হয়েছিলেন। এছাড়াও, তথ্যের অধিকার আইন নিয়েও উল্লেখযোগ্য কাজ রয়েছে তাঁর।