জালনোট থেকে গরু পাচার, মাদক জাতীয় দ্রব্য উদ্ধার সবক্ষেত্রেই ডাক পড়ে পুলিশের। এদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে জন সংখ্যা৷ বাড়ছে বসতি৷ ফলে চাপ বাড়ছে থানাগুলির৷ তাই মালদহ জেলার থানাগুলির এলাকা পুনর্বিন্যাস করে নতুন আটটি থানা গড়ার জন্য এবার রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠাল মালদহ জেলা পুলিশ৷ মালদহের জেলা পুলিশ সুপার অলক রাজরিয়া বলেন, ‘‘মালদহ জেলায় বর্তমানে ১৪টি থানা রয়েছে৷ একটি মহিলা থানা ও একটি সাইবার ক্রাইম থানাও রয়েছে। জেলার হরিশচন্দ্রপুর, ইংলিশবাজার , চাঁচল, কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর থানা গুলিকে বেশ কিছু ভাগে ভাগ করার পরিকল্পনা রয়েছে৷’’
জেলা পুলিশের দাবি, মালদহ জেলা ব্রিটিশ আমলে তৈরি। জেলায় অপরাধ ক্রমশ বাড়ছে। জেলা পুলিশের তরফে অপরাধকে কড়া হাতে দমনও করছে৷ জালনোট থেকে গরু পাচার, মাদক জাতীয় দ্রব্য উদ্ধার সবক্ষেত্রেই পুলিশের প্রচেষ্টায় অসামাজিক কার্যকলাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবু হু হু করে বাড়ছে জনসংখ্যা৷ চাপ বাড়ছে পুলিশেরও৷ তাই মালদহ জেলা পুলিশ নতুন করে আটটি থানার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। খুব শীঘ্রই সরকারের তরফ থেকে অনুমোদন পেলেই থানা গুলি পুনর্নির্মাণ করে গড়ে তোলা হবে।
শুধু তাই নয় জেলা পুলিশ সুপার জানান, জলপথেও বাড়ছে অসামাজিক কার্যকলাপ৷ তাই জলপথেও থানা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিশেষ করে মানিকচকে গঙ্গাতেও জলপথে থানা হবে৷ যেখানে এসআই, এসআই পুলিশ আধিকারিকরা নিযুক্ত থাকবেন। পুলিশ সুপারের কথায়, ‘‘উত্তরবঙ্গের সব কটি জেলা থেকে মালদহ জেলাতে সারা বছরে প্রচুর কেস আমরা করে থাকি৷ মালদহ জেলাতে প্রতিবছরই প্রায় সাড়ে ন’হাজার কেস জমা পড়ে৷ স্বভাবতই থানার সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব৷’’
পুলিশ সূত্রের খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা ভেঙে তুলসিহাটা, ভালুকায় নতুন থানা হবে । চাঁচোল ভেঙে মালতিপুর এলাকায় আরও একটি থানা হবে। কালিয়াচক এলাকায় সুজাপুর থানা হবে। বৈষ্ণবনগর এলাকায় কুম্ভিরাতে একটি থানা হবে। গাজোল থানা এলাকায় দেওতলায় একটি থানা হবে। কালিয়াচকের গোলাপগঞ্জ তদন্তকারী কেন্দ্র থেকে থানাতে রূপান্তরিত করা হবে। পাশাপাশি ইংরেজবাজার থানাকে ভেঙে অমৃতি থানা হবে।