দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘খুনের উদ্দেশ্যেই’ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল! এমন অভিযোগ তুলে ত্রিপুরার ডিজিপিকে চিঠি লিখল তৃণমূল। ত্রিপুরা তৃণমূলের তরফে চিঠিটি লিখেছেন ওই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশচন্দ্র দাস।
ডিজি ভি এস যাদবকে লেখা চিঠিতে প্রকাশ লিখেছেন, ‘রাস্তার দু’ধারে বিজেপির পতাকা নিয়ে দুষ্কৃতীরা জড়ো হয়েছিল। তাদের হাতে ছিল লাঠি এবং রড। যেভাবে তারা অভিষেক এবং তাঁর সঙ্গী অজিতকুমার পালের গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল তাতে স্পষ্ট, খুনের উদ্দেশ্য ছিল তাদের’। ইতিমধ্যেই ওই হামলার ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে দোষীদের গ্রেফতার ও তদন্তের মাধ্যমে ‘ষড়যন্ত্র’ প্রকাশ্যে আনার দাবিও তুলেছে ত্রিপুরা তৃণমূল। জেড প্লাস নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অভিষেকের নিরাপত্তায় গলদেরও অভিযোগ আনা হয়েছে।
ত্রিপুরা তৃণমূলের অভিযোগ, ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের যাত্রাপথে অন্তত ১৩ বার হামলা ও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। অভিষেকের সফরের পরপরই বুধবার আগরতলা যান বাংলায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। গিয়েই ত্রিপুরার প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ-বিধায়ক ও শিক্ষক-সরকারি কর্মী সংগঠনের নেতা অজয় বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেন। ত্রিপুরায় সিপিএমের অন্যতম স্থপতি অজয়বাবু এখন পিডিএসের সম্পাদক। কুণালের সঙ্গে দীর্ঘ কথা হয় তাঁর। সাংবাদিকদের কাছে কুণাল ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বললেও অজয় বিশ্বাস সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন।