বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে পেগাসাস কাণ্ডে তদন্তের আর্জি মামলার শুনানি শুরু হয়। এদিন সর্বোচ্চ আদালত জানায়, সংবাদপত্রের রিপোর্ট সঠিক হলে এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর।
পেগাসাস কাণ্ডে নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল নয়টি জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবার এই মামলাগুলির শুনানি হয়। এদিন এই মামলা শোনেন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা এবং এই বেঞ্চের অপর বিচারপতি ছিলেন সূর্য কান্ত।
দু’দিন আগে পেগাসাস কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দ্য এডিটরস গিল্ড। এর আগে বর্ষীয়ান সাংবাদিক এন রাম এবং শশী কুমার এই মামলায় বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতকে জানান, পেগাসাস স্বাধীনতা উপর বড় প্রভাব ফেলেছে। বিচারপতি, সাংবাদিক, বিরোধী নেতারাই পেগাসাস তালিকার টার্গেট, এই আইনজীবী জানিয়েছিলেন মুখ্য বিচারপতিক।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা জানান, কিছু মানুষ বলছেন তাদের ফোন ট্যাপ করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে টেলিগ্রাফ আইন বা তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের করা হয়নি কেন! তিনি আরও জানান, পেগাসাস রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে ২০১৯ সালের মে মাসে। হঠাৎ দু’বছর পর আদালতে আসার প্রয়োজন পড়ল কেন? তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আবেদনকারীরা ক্ষমতাশীল ব্যক্তি, তাদের আরো বেশি উদ্যোগী হওয়া উচিত ছিল। সত্য প্রকাশ্যে আসা উচিত। ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে বিরোধীদের কেন্দ্রকে অভিযোগ জানাতে হবে, জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে আগামী মঙ্গলবার।