একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এবার তাদের পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বেশি দেরি নেই। তাই সবার আগে বিপ্লব দেবের রাজ্যেই ঘুঁটি সাজানো শুরু করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই সেখাবে দলের নেতা-মন্ত্রীদের পাঠিয়ে বিপ্লব দেব সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়ে তুলেছে ঘাসফুল শিবির। এবার সেই ত্রিপুরাবাসীদের টুইট বার্তা দিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পর পর তিনটি টুইটে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র। সেই সঙ্গে কুণালের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘কোনও ব্যক্তির আসা যাওয়ার ওপর এবার ত্রিপুরায় তৃণমূলের ভবিষ্যত নির্ভর করবে না।’
ত্রিপুরার ভবিষ্যত বাঁচাতে মমতাই ভরসা। কুণালের কটাক্ষ বামেরা ভুলে গিয়েছে এবং বিজেপি কিছুই করছে না। তাই দলীয় রাজনীতিকে আমল না দিয়ে আগে ত্রিপুরাকে বাঁচাতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বেই তা সম্ভব বলে মত কুণালের। টুইটে তিনি লেখেন, শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী, উদ্বাস্তু-নমঃশূদ্ররা চরম ভাবে অবহেলিত। বামেরা ভুলে গিয়েছে। বিজেপি ডোবাচ্ছে। দলীয় রাজনীতি পরে। আগে নিজেদের অধিকার রক্ষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে সেনাপতিত্বে মানুষের মহাজোটকে সমর্থন জানান। তৃণমূল আপনার পাশে থেকে লড়াই করবে। অন্য একটি টুইটে তিনি জানান, একাধিক বাম নেতা, সংগঠকের সঙ্গে কথা হল। বাম ভোটারদের অনুরোধ, আপনারা বিজেপিকে রুখতে ব্যর্থ। দিল্লী, বাংলায় দুর্বলতম। এখানে বিজেপিকে সরাতে মানুষের মহাজোটের প্রতীক জোড়া ফুলকে সমর্থন করুন। বামেরা জিতবে না। ভোট নষ্ট করবেন না। বিজেপিকে তৃণমূল বুঝে নেবে।