একুশের ভোটযুদ্ধের পর থেকেই নিখোঁজ তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই দলের কর্মসূচীতে দেখা নেই তাঁর। শুধু ফেসবুকেই টের পাওয়া যাচ্ছে তাঁর অস্তিত্ব। কথা হচ্ছে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ। কিন্তু আচমকাই সর্বভারতীয় স্তরে তাঁর সাংগঠনিক পদ পাওয়া ছিল নজিরবিহীন। নতুন দলে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কেন্দ্রীয় সম্পাদক করা হয়েছিল অনুপমকে। যে পদে আগে ছিলেন রাহুল সিনহার মতো বিজেপির জন্মলগ্ন থেকে পার্টি করা নেতা। সেই অনুপম সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে সক্রিয় রাখলেও শারীরিক ভাবে বিজেপির কর্মসূচীতে কার্যত নিরুদ্দেশ। এ নিয়ে বিজেপির মধ্যেও গুঞ্জন রয়েছে। রাজ্য বিজেপির এক প্রথম সারির নেতা জানিয়েছেন, অনুপমকে দলীয় কর্মসূচীর খবর দেওয়া হলেও তিনি আসছেন না। উচ্চবাচ্যও করছেন না।
প্রসঙ্গত, বিজেপির মতো একটা সাংগঠনিক বাঁধুনি থাকা দলে অনুপমের হঠাৎ উত্থান অনেকের কাছেই অবাক করা ছিল। অনেকে বলেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে অনুপমের ঘনিষ্ঠতাই সর্বভারতীয় সংগঠনে তাঁর পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে মই হিসেবে কাজ করেছিল। দেখা যাচ্ছে, বাংলা বিজেপির থেকে গুরু কৈলাস যখন অনেকটা দূরত্ব বজায় রাখছেন তখন শিষ্য অনুপমও মাঠে-ময়দানের আন্দোলন থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন। এমনিতে বিতর্ক অনুপমের ছায়াসঙ্গী। আলটপকা ফেসবুক পোস্ট, পরে তা ডিলিট করা—এসব ঘটনা অনেক ঘটেছে। কিন্তু রাজনীতির ময়দান থেকে এ ভাবে দূরে থাকতে দেখা যায়নি অনুপমকে।
বিজেপির অন্দরে কান পাতলে আরও একটি কথা শোনা যাচ্ছে। তা হল ভোটের সময়ে অনুপম এমন একটি পোস্ট নাকি করেছিলেন যা দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন অমিত শাহকে নিশানা করতে চেয়েছেন তিনি। যদিও তারপর সেই পোস্ট ফেসবুক থেকে ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিল বলেও শোনা যায়। বিজেপির অনেকের মতে, সার্বিক ভাবেই অনুপম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের খুব একটা সুনজরে নেই। হতে পারে তাঁকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়েও দিতে পারে বিজেপি। যদিও এসবই জল্পনা। হাওয়ায় ভাসা কথা। তবে এটা বাস্তব যে অনুপমকে দেখা যাচ্ছে না।