আসন্ন ১লা নভেম্বর থেকেই শুরু হতে চলেছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এমনই জানাল নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, ১লা নভেম্বর থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত পুরো মাস ভোটার তালিকায় নাম তোলা, বাদ দেওয়া এবং সংশোধনের জন্য আবেদন করা যাবে। এর মধ্যে প্রতি শনি ও রবিবার প্রতি বুথে বিশেষ ক্যাম্প বসবে। একমাস ধরে যত আবেদন জমা পড়বে, তার শুনানি হবে ২০শে ডিসেম্বরের মধ্যে। সব আবেদন নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে আগামী ৫ই জানুয়ারি। তবে ২০২২ সালের ১লা জানুয়ারি যাঁদের বয়স ১৮ হবে তাঁরাই ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ১লা নভেম্বর থেকে নাম সংশোধনের কাজ শুরুর আগে ৯ই আগস্ট থেকে ৩১শে অক্টোবর ভোটার তালিকায় যদি কোনও ভুলত্রুটি থাকে এবং একাধিক নাম থাকে, তাহলে তা ঠিক করা হবে। যদি কোনও বুথে একহাজারের বেশি ভোটার থাকে, তাহলে তাও ঠিক করা হবে। সব বুথেই ভোটারের সংখ্যা থাকবে এক হাজারের কম। আর নভেম্বর মাসে নতুন করে নাম তুলতে গেলে ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হবে।
পাশাপাশি, ভোটার তালিকায় নামের বা ঠিকানার ভুল থাকলে ৮ নম্বর ফর্ম জমা দিতে হবে। অনলাইনেও আবেদন করা যাবে। সেই সব আবেদনের শুনানি করে ৫ই জানুয়ারি ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। এদিকে, ভবানীপুর সহ সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে অবিলম্বে ভোট করার জন্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে দরবার করবে তৃণমূল। ইতিমধ্যে দিল্লীতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রার সঙ্গে দেখা করেছেন তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। এবার কলকাতায় দেখা করবেন বলে জানালেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বর্তমানে রাজ্যে করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বহু মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছে। এই সময়েই ভোট করা উচিত। আমরা সেই দাবিতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করব।”