তিহার জেলের মধ্যে বুধবার মিলল গ্যাংস্টার অঙ্কিত গুজ্জরের দেহ। ২৯ বছর বয়সী ওই দুষ্কৃতী বিজেপি নেতা বিজয় পণ্ডিতকে হত্যায় অভিযুক্ত। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, চারজন তাকে পিটিয়ে মেরেছে। জেলের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্টও ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গুজ্জর একসময় সুন্দর ভাটি গ্যাং-এর হয়ে কাজ করত। বিজেপি নেতা খুনের দায়ে ২০১৫ সালে সে গ্রেফতার হয়। তার বিরুদ্ধে খুন ও তোলাবাজি সহ মোট ২২ টি মামলা আছে। গুজ্জরের বাবা বিক্রম সিং-এর অভিযোগ, তাঁর ছেলে কারারক্ষীদের তোলা দিতে চায়নি। তাই তাকে খুন হতে হল। তাঁর কথায়, “গত একবছর আমার ছেলেকে তিহার জেলে রাখা হয়েছিল। জেলের অফিসাররা তাকে পিটিয়ে মেরেছে। তারা আমার ছেলের কাছে ১০ হাজার টাকা চেয়েছিল। সে দিতে রাজি না হওয়ায় খুন হয়েছে।”
এপ্রসঙ্গে ডিজি (তিহার) সন্দীপ গোয়েল জানিয়েছেন, মৃত কয়েদি জেল নম্বর থ্রি-তে ছিল। বুধবার সকালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিহার জেল কর্তৃপক্ষ এই মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে। একইসঙ্গে বিচারবিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। এর আগে মে মাসের শুরুতে তিহার জেলে মারা যান প্রাক্তন আর জে ডি এমপি সাহাবুদ্দিন। ২০০৪ সালের একটি জোড়া খুনের মামলায় তিহার জেলে যাবজ্জীবন সাজা খাটছিলেন লালুপ্রসাদ যাদবের দলের এই ডাকসাইটে নেতা। তিনি বাহুবলী বলেও পরিচিত ছিলেন। ৫৩ বছর বয়সি সাহাবুদ্দিন গত ২০ এপ্রিল কোভিড ১৯ পজিটিভ হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেদিনই তাঁকে দিল্লীর দীনদয়াল উপাধ্যায় (ডিডিইউ)হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে তিহার জেলের ডিজি সন্দীপ গোয়েলকে উদধৃত করে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। গোয়েল বলেছেন, দিল্লী জেলের বন্দি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের মৃত্যুসংবাদ এসেছে। তাঁকে ২০শে এপ্রিল ডিডিইউয়ে ভর্তি করা হয়।