ত্রিপুরায় বিজেপির বিজয়রথ রুখতে মরিয়া তৃণমূল। সিপিএম-এরও লক্ষ্য, একই। তাহলে কি ২০২৩-এ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বর্তমান শাসককে উৎখাত করতে তৃণমূলের সঙ্গে হাতে হাত মেলাতে পারে ত্রিপুরা সিপিএম! ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবার এহেন প্রশ্নের সামনেই পড়লেন। বাগ্মী বামনেতা অবশ্য পিছু হটলেন না, জবাব ফেরালেন স্ট্রেট ব্যাটেই। তাঁর যুক্তি, আগামী দিনে দেশের পরিস্থিতি এবং ত্রিপুরার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেবে দলীয় নেতৃত্ব। অর্থাৎ সম্ভাবনাটা জিইয়েই রাখলেন তিনি।
বাংলায় ভোটের লড়াইয়ে নিরিখে গত আড়াই দশকের বেশি সময় প্রধান শত্রু বলে বিবেচিত ছিল সিপিএম এবং তৃণমূল। কিন্তু শেষ তিনবার সিপিএম-কে বিধানসভা ভোটে তৃণমূল শুধু পরাস্তই করেনি, ২০২১ সালের বিধানসভা বামশূন্য করে ছেড়েছে ঘাসফুল শিবির। ভোটের আগে তৃণমূল এবং বিজেপিকে একাসনে রাখলেও এখন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই বাম নেতাদের গলায় ঘনঘন ভিন্ন সুর শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু শোরগোল ফেলে বলে দিয়েছেন, বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে যে কারও সঙ্গে জোট বেঁধে কাজ করতে প্রস্তুত দল। এমন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহল স্পষ্টই বলছে, ২০২৪-এ বিজেপি বিরোধী জোটে যে বামেরা প্রত্যক্ষ ভাবে অংশ নিতে চায় তা-ই আসলে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন বিমান বসু। আর এই পরিস্থিতিতে মানিক সরকারও বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তিনিও পিছপা নন, অন্তত বিজেমূল তত্ত্বের প্রবক্তা তো ননই।
তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া প্রসঙ্গে মানিক সরকার বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তৃণমূল আন্দোলন সংগ্রাম ও সংগঠন করে। তাদের সংগঠন করতে আমরা আগে কখনও এই রাজ্যে বাধা দেয়নি তারা তাদের মত কাজ করেছে ভোটে দাঁড়িয়েছে। জয়-পরাজয়ের প্রশ্ন অন্য’। তাঁর কথায়, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের আসাটা নতুন কিছু নয়। বাংলা তাদের মূল শক্তি হলেও তারা নানা জায়গায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন’।
