অভিষেকের সফরের পরেই ত্রিপুরায় জোড়া প্রতিনিধি পাঠাল এআইসিসি। সোমবার আগরতলায় যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তারপরেই আগরতলা পৌঁছন কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতা। প্রথম জন হলেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পাণ্ডে ও ছত্তীসগঢ়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস সিংহ দেও। দু’দিনের সফরে তাঁরা আগরতলায় গিয়েছেন। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির পাশাপাশি, তাঁরা বৈঠক করেছেন বিভিন্ন ব্লকের সভাপতিদের সঙ্গেও।
পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখলের পর তৃণমূলের নজর অন্য রাজ্যের সংগঠন বাড়ানোর দিকে। বর্তমানে তৃণমূল নেতৃত্বের ‘পাখির চোখ’২০২৩ সালের ত্রিপুরার বিধানসভা ভোট। তাই ভোটের দু’বছর আগে থেকেই সংগঠন বৃদ্ধির কাজে নেমে পড়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গেইএআইসিসি নেতাদের ত্রিপুরায় আগমনকে একভাবে দেখতে নারাজ ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযুষকান্তি বিশ্বাস। তাঁর কথায়, ‘‘অভিষেক বা তৃণমূল নেতাদের আমাদের রাজ্যে আসা বা এআইসিসি নেতাদের কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে আসার বিষয়টি এক নয়। কারণ এখনও ত্রিপুরায় তৃণমূলের ন্যূনতম সংগঠন গড়েই ওঠেনি। আর কংগ্রেসের রাজ্য, জেলা ও ব্লক কমিটিগুলি সফলভাবে কাজ করছে। তাই দুটি বিষয়কে একভাবে দেখা ঠিক হবে না।’’
কাঁথি সমবায় ইউনিয়নের সভাপতির পদ থেকে সরানো হল বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে
সেই লক্ষ্যেই সোমবার তিনি আগরতলা সফরে গিয়েছিলেন। সঙ্গে দলের নেতা-মন্ত্রীদের পাঠিয়ে যেভাবে ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর কাজ শুরু করেছেন, তা সাংগঠনিক বিষয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বকে ভাবিয়ে তুলেছে বলেই খবর। আর তাঁর আগমনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এআইসিসি-র দুই নেতার ত্রিপুরা পৌঁছনোকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। কারণ, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে ত্রিপুরা পূর্ব ও পশ্চিম আসনে দ্বিতীয় হয়েছিল কংগ্রেস। তৃতীয় হয়েছিল সিপিএম।
আর ত্রিপুরা পশ্চিম আসনে প্রাক্তন ফুটবলার মামন খানকে প্রার্থী করে মাত্র আট হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। সেই পরিসংখ্যানে ভিত্তি করেই বিধানসভা ভোটের আগে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে জমি ছাড়তে নারাজ ত্রিপুরার কংগ্রেস। তাই এখন থেকেই এআইসিসি নেতৃত্ব ত্রিপুরার দিকে মন দেওয়া শুরু করেছেন। সূত্রের খবর, ২০২৩ সালের ভোটের আগে দলের সাংগঠনিক অবস্থা জানতেই ওই দুই এআইসিসি নেতা ত্রিপুরায় গিয়েছেন।