মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই দাবি করে থাকেন, ‘এগিয়ে বাংলা’। এই দাবি যে আদৌ ভ্রান্ত নয়, একাধিকবার মিলেছে তার প্রমাণ। তাঁর আমলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গোটা দেশের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠেছে বাংলা। এবার ফের রাজ্যের মুকুটে সেরার পালক। সরকারি ক্ষেত্রে ভাল কাজের জন্য জাতীয় স্তরে চারটি পুরস্কার পেল মমতা সরকার। মঙ্গলবার একটু আগে টুইট করে এই সুখবর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে বিভিন্ন সরকারি কাজের মান বিশ্লেষণ করে প্রতি বছরই কিছু সরকারি দফতরকে পুরস্কৃত করে ‘স্কচ’ নামে এক বেসরকারি সংস্থা। দেশের বিভিন্ন জন প্রশাসনমূলক কাজকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়৷ বলাই বাহুল্য, এই পুরস্কার শুধুমাত্র দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও এই পুরস্কারকে মান্যতা দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে পূর্বেও বাংলার একাধিক সরকারি বিভাগ এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
শিল্প সাথী, ই-নথিকরণ, গ্রামীণ এলাকায় অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স ও শহরাঞ্চলে অনলাইনে নথিভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে অটো রিনুয়্যাল সার্টিফিকেট প্রদান- এই চারটি সরকারি কাজে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলা। শিল্পসাথীর ক্ষেত্রে প্ল্যাটিনাম, ই-নথিকরণ ব্যবস্থা ও গ্রামীণ এলাকায় অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সিলভার ও শহরাঞ্চলে অনলাইনে নথিভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে অটো রিনুয়্যাল সার্টিফিকেট প্রদান ক্ষেত্রে গোল্ড পেয়েছে বাংলা।
স্বাভাবিকভাবেই এই চার চারটি পদক বাংলাকে এগিয়ে দিল আরও একবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পসাথীর মতো প্রকল্প মানুষের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। এই উদ্যোগ শিল্পপতিদের আরও উৎসাহ জোগাচ্ছে বাংলায় শিল্প করার ক্ষেত্রে। কারখানা তৈরি ক্ষেত্রে আর পোয়াতে হচ্ছে না ৩০-৪০ রকমের ঝামেলা। ছুটতে হয় না এক টেবিল থেকে আর এক টেবিল। অনলাইনে উঁকি দিয়ে এক জানলা ব্যবস্থার মাধ্যমেই মিলছে কারখানা তৈরির ছাড়পত্র।
অন্যদিকে, গ্রামীণ এলাকায় শিল্পের প্রসারের জন্য সরকারি উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিয়েছে ‘স্কচ’। গ্রামীণ শিল্পের ক্ষেত্রে এখন ছুটতে হয় না জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত সমিতির দরজায়। অনলাইনেই মিলছে সুরাহা। শহরাঞ্চলে নথিভুক্তকরণের অটো রিনুয়্যাল সার্টিফিকেট পেতে ভোগাতে হচ্ছে না লাল ফিতের গেরো। অনলাইনের মাধ্যমে সহজে মিলছে সার্টিফিকেট। আবার, ই-নথিকরণের মতো কাজেও স্বীকৃতি অর্জন করেছে বাংলা। জমি-জমা বা বাড়ি সংক্রান্ত কাগজ পত্র জমা দিতে বা হাতে পেতে কোনো ঝঞ্ঝাট পোয়াতে হচ্ছে না মানুষকে।