ত্রিপুরায় বহুৎ এই বিজেপি কর্মীদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তাতে তিনি দমে যাওয়ার মানুষ নন। বরং বিপ্লব রাজ্যে একদিনের ঝটিকা সফরেই দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে ম্যাজিক মন্ত্র দিয়ে গেলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে অভিষেক বলে গিয়েছেন আগামী দেড় বছর একটা দিনও বাদ যাবে না। প্রতিদিন রুটিন মেনে ত্রিপুরায় চলবে প্রচার। এমনকি প্রতি সপ্তাহের দায়িত্ব দেওয়া থাকবে এক একজন নেতার কাছে। যিনি ত্রিপুরায় থাকবেন ইনচার্জ হিসাবে।
একুশের ভোটযুদ্ধ জিতে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের পাখির চোখ এখন ২০২৪- এর লোকসভা নির্বাচন। তবে তার আগে রয়েছে পড়শি রাজ্য ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই রাজ্যে সংগঠন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বিপ্লব দেবের সরকারকে নিশানা করে ফেলেছে তৃণমূল। তাই তাদের ওপর চাপ বাড়াতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করে দিয়েছেন রুটিন। সেই মোতাবেক এখন থেকেই ত্রিপুরায় জেলাওয়ারী সফর শুরু করছেন নেতারা। আজ ব্রাত্য-ঋতব্রত-দেবাংশু-সুদীপ-জয়াকে নিয়ে শুরু হচ্ছে প্রচার।
আপাতত রাজ্য সংগঠন গঠন না হলেও আশিষলাল সিংহ এই সব নেতাদের সঙ্গে নিয়েই দৌড় শুরু করছেন। এর পাশাপাশি কলকাতা থেকেও নিয়মিত নেতারা আসবেন ত্রিপুরায়। তাঁরা এলাকা ধরে ধরে প্রচার শুরু করবেন। অভিষেকের চ্যালেঞ্জ ত্রিপুরার ৮ জেলা, ৫৮ ব্লক ও ৩৩২৪ বুথে তিনি আগামী দেড় মাসের মধ্যেই সংগঠন তৈরি করবেন। কিন্তু কী ভাবে হবে সংগঠন প্রস্তুত? তা বুঝতেই এখন থেকে ত্রিপুরা চষে বেড়াবেন দেবাংশু-জয়া-সুদীপ।
দুই সপ্তাহ পরেই ফের ত্রিপুরার মাটিতে পা রাখবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে গিয়েছেন, যদি কোনও তৃণমূল কর্মীর গায়ে হাত পড়ে তাহলে তিনি চলে আসবেন তার আগেই। কলকাতা থেকে তার আসতে সময় লাগে মাত্র ১ ঘণ্টা। সোমবার ত্রিপুরার নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরেছেন টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁদের কাজের প্রশংসা করেছেন অভিষেক। বিশেষ করে প্রতিদিন যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি ছেড়ে জোড়া ফুল শিবিরে মানুষ যোগদান করছেন তা দেখে খুশি অভিষেক। তাঁর ত্রিপুরা সফরে ‘এবার ত্রিপুরা’ ক্যাচলাইনও বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন তিনি।