টানা বৃষ্টিতে বেহাল অবস্থা ঘাটালের। নিজের এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন সাংসদ দেব। শোনা গিয়েছে, বুধবার সকালের দিকেই ঘাটালের উদ্দেশে দেব রওনা দেবেন। গোটা এলাকা খতিয়ে দেখবেন তিনি। স্থানীয় মানুষদের পরিস্থিতি দেখবেন। তাঁদের অসুবিধার কথা শুনবেন। বৃষ্টি কমে গেলেও ঘাটালের অবস্থা এখনও বেশ খারাপ। বহু জায়গায় জমা জল রয়েছে। দাসপুর, চন্দ্রকোণা এলাকাতেও জলের সমস্যা রয়েছে। একাধিক জায়গায় এখনও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম নৌকা। সবচেয়ে বড় যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে, তা হল পানীয় জলের সমস্যা। বৃষ্টিতে জমা জলের কারণে অনেক জায়গায় ট্যাপ কল পর্যন্ত ডুবে গিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জলের পাউচ দেওয়া হচ্ছে। তবে তা আরও বেশি প্রয়োজন বলে জানা গিয়েছে।
বরাবরই নিজের কেন্দ্রে সক্রিয় দেব। করোনা আবহে একাধিক আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করেছেন তিনি। ডেবরার অফিসটিকেও আইসোলেশন সেন্টার করেছিলেন। জুন মাসে ডি.ভি.সি ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় নদীর বাঁধ উপচে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ও নিজের কেন্দ্রের বাসিন্দাদের অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন দেব। এখনও ঘাটাল-সহ মেদিনীপুরের বেশ কিছু জায়গায় বাড়ির ছাদে উঠে মানুষকে বসবাস করা হচ্ছে। অনেকে ত্রিপল খাটিয়ে থাকছেন। শুক্রবার থেকে তিন চাকার ইঞ্জিন ভ্যানে দিন কাটাচ্ছেন ৪৫ বছরের চম্পা দোলই। ঘর-বাড়ি ছেড়ে দুই ছেলেকে নিয়ে উঠে এসেছেন ঘাটাল চন্দ্রকোণা রাজ্য সড়কের শ্যামপুরে। একইভাবে ট্রাক্টরের উপর তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ৪০ বছরের রবি সিং ও তাঁর স্ত্রী ঝুম্পা। এমন অবস্থা অনেকেরই। এমন পরিস্থিতিতেই ঘাটালে যাচ্ছেন দেব।