রীতিমতো আতঙ্কিত রঘুনাথপুর ২ ও নিতুড়িয়া ব্লকের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। ডিভিসি জল ছাড়ায় ইতিমধ্যেই রঘুনাথপুর-২ ব্লকের দু’টি গ্ৰাম প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গিয়েছে মাছ চাষের পুকুর ও চাষের জমি। খেলার মাঠ, মন্দির, ইটভাটা জলের তলায়। জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়লে আরও অন্তত আট থেকে ১০টি গ্ৰাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতির কথা ভেবে যাতায়াতের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌকা। তবে এতবড় দুর্যোগেও এলাকার বিজেপি বিধায়ক, সংসদ সদস্যকে দেখা যায়নি। এ নিয়ে গ্রামবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিকে পরিস্থিতির কথা শুনেই গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়ান রঘুনাথপুর-২ ব্লক যুব সভাপতি স্বপন মাহাথা। ওই এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, চাষের জমি প্লাবিত হয়ে প্রচুর ফসল নষ্ট হয়েছে। গ্ৰামে জল ঢুকলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন ও পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়লে তাঁদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হবে। প্রবল বর্ষণে এমনিতেই দামোদর ফুঁসছিল। তার উপর ডিভিসি জলাধার থেকে জল ছাড়ায় দুকূল ছাপাতে শুরু করেছে। জল ঢুকে যায় রঘুনাথপুর-২ ব্লকের জামুয়াডি ও তালডিতে। এছাড়াও তেলকুপী, পাথরবাড়ি, লালপুর, বুরুডি, তুলসীবাড়ি গ্ৰামেও জল ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। প্লাবনের আশঙ্কায় এখানকার মানুষ পর্যুদস্ত। খবর পেয়ে এদিন ঘটনাস্থলে যান রঘুনাথপুর-২ ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি স্বপন মাহাথা। তিনি বলেন, আমাদের দলের কর্মীরা প্রস্তুত আছেন। বিপর্যয় ঘটতে দেব না। ডিভিসি জলাধারগুলি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে জল ছাড়ার ফলেই এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। গ্ৰামের বাসিন্দা পরমেশ্বর বেসরা, শিক্ষক সঞ্জয় মাহাথা বলেন, গ্রামের মানুষ আতঙ্কে থাকলেও এলাকায় সংসদ সদস্য থেকে বিধায়ক, এমনকী বিজেপির কোনও নেতাকেও দেখতে পাওয়া যায়নি। তৃণমূল কর্মীরা অবশ্য গ্ৰামের মানুষের সঙ্গে রয়েছেন। বিপদের এই সময় প্রশাসনের তরফে মানুষের পাশে দাঁড়ানো দরকার।