পেগাসাস, কোভিড মোকাবিলা, মূল্যবৃদ্ধির মতো একাধিক ইস্যুতে সংসদের অভ্যন্তরে কেন্দ্রকে নিশানা করে চলেছে বিরোধীরা। তাদের স্লোগান, হই-হট্টগোলে প্রায় প্রত্যেকদিনই তোলপাড় হচ্ছে সংসদের দুই কক্ষই। এই পরিস্থিতিতে সংসদ চালানো কার্যত কঠিন হয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের একাংশ ভাবছেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা বসাবেন মক পার্লামেন্ট। এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ১৪ টি বিরোধী দল বৈঠকে বসবে মঙ্গলবার। বিরোধীদের অভিযোগ, সংসদে তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না। তাঁরা চান, ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিক সরকার। কিন্তু মোদী সরকার তাতে রাজি হয়নি।
ইতিমধ্যে দিল্লির যন্তর মন্তরে শুরু হয়েছে ‘কিষাণ সংসদ’। কোভিড অতিমারীর জন্য দিল্লী জুড়ে এখন জারি রয়েছে দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট। সেই আইন অনুযায়ী কোনও সমাবেশ করা নিষিদ্ধ। কিন্তু কিষাণ সংসদের জন্য সেই আইনে ছাড় দেওয়া হয়েছে। নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন। তাদের যৌথ মঞ্চের নাম সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। সেই মোর্চাই কিষাণ সংসদ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। স্থির হয়েছে, কিষাণ সংসদ চলবে ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত। ওইসময় সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হবে।