একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এবার তাদের পাখির চোখ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা। এবার যেমন তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আসামের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লীতে দেখা করেন অসমের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ কিরিপ চালিহা। তার পরেই তৃণমূলে যোগদানের বিষয় ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন তিনি, এমনটাই কিরিপের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, একসময় আসাম কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা ছিলেন কিরিপ। কিন্তু, দলের বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় এআইসিসি-তে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। যদিও, এআইসিসি নেতৃত্ব তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেনি বলেই খবর। তা সত্ত্বেও আর কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান না এই প্রাক্তন সাংসদ। বরং দিল্লীর মসনদে থেকে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীকে সরাতে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির সন্ধানে রয়েছেন কিরিপ। সেই সূত্রেই দিল্লীতে মমতার সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।
তবে এখনই তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে চাইছেন না কিরিপ। তিনি বলেন, ‘এখনই যোগদানের বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে অসমের বহু মানুষ যাঁরা দীর্ঘ দিন কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা সোনিয়াজির নেতৃত্বে যতটা স্বচ্ছন্দ রাহুলের সঙ্গে ততটা নন। তাঁরা মনে করেন কংগ্রেস জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি। কিন্তু বাংলার সাম্প্রতিক নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে মোদী-শাহ জুটিকে রুখতে পারেন একমাত্র মমতাই।’
কিরিপ আরও বলেন, ‘আমি মমতাজির সঙ্গে দেখা করে বলেছি, আপনি এখন কেবল বাংলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে এগিয়ে আসুন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজনীতিতে আমরা আপনাকে সাহায্য করব।’ শুধু তাই নয়। ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদীকে একমাত্র মমতাই চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন বলে প্রকাশ্যেই মত প্রকাশ করছেন তিনি। কিরিপের কথায়, ‘আমরা মনে করছি ২০২৪ সালে মমতাই পারেন মোদীকে হারাতে। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদারও।’ তাঁর এমন প্রস্তাবের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে কিরিপ-সহ আসামের পুরনো কংগ্রেস নেতারা তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন।