শেক্সপিয়ার বলেছিলেন, ‘নামে কী আসে যায়’। কিন্তু নাম বদলের রাজনীতিতে দেশের মধ্যে খুব ‘নাম’ করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। এলাহাবাদ হয়েছে প্রয়াগরাজ। মোগলসরাই স্টেশন হয়েছে দীনদয়াল উপাধ্যায়। ফৈজাবাদ হয়েছে অযোধ্যা জেলা। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের আমলে অব্যাহত নাম বদলের ধারা। এবার যেমন ফিরোজাবাদের নাম বদলের প্রস্তাব পাশ হল জেলা পঞ্চায়েতের বৈঠকে। শনিবার প্রথম জেলা পঞ্চায়েত অধিবেশনে ব্লক প্রমুখ লক্ষ্মী নারায়ণ যাদব নাম বদলের প্রস্তাব দেন। যাদব স্থানীয় বিজেপি নেতা ও পার্টির প্রাক্তন জেলা প্রধান। সদ্য হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফিরোজাবাদ (সদর) থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
জেলা পঞ্চায়েত চেয়ারম্যান হর্ষিতা সিং জানিয়েছেন, শনিবারের বৈঠকে অধিকাংশ সদস্যের উপস্থিতিতেই প্রস্তাবটি পেশ হয়। লক্ষ্মী নারায়ণের প্রস্তাবটি পাশ হয়ে যায় কোনও বিরোধিতা ছাড়াই। উপস্থিত সদস্যের কেউই নাম বদলে আপত্তি করেননি। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠি দিয়ে নাম বদলের প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার কথা জানিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন হর্ষিতা। সরকারকেও চিঠি পাঠানো হবে। সরকারই নাম বদলের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
হর্ষিতা জানিয়েছেন, ফিরোজাবাদের নতুন নাম হচ্ছে চন্দ্রনগর। কিন্তু কেন নাম বদলাতে হচ্ছে? কারণ ব্যাখ্যা করে হর্ষিতা বলেছেন, আমরা তো নাম বদলাচ্ছি না। পুরানো নামে ফিরে যাচ্ছি মাত্র। মুঘলরা ভারতে আসার আগে নাম ছিল চন্দ্রনগর। সম্রাট আকবরের প্রতিনিধি ছিলেন ফিরোজ শাহ। তিনিই এই জায়গার নামকরণ করেছিলেন ফিরোজাবাদ। ১৫৬০ সালের আগে রাজা চন্দ্র সেনের নামেই পরিচিতি ছিল এলাকার। মুঘলদের আগে তিনিই ছিলেন শাসক। আর যাদবের দাবি, গোটা জেলাই নাম বদল চায়। নতুন অধিবেশনের প্রথম কাজ হিসাবে প্রস্তাবটা পেশ করেছি আমি। ধ্বনিভোটে তা গৃহীত হয়েছে।