ত্রিপুরার প্রথম সফরেই বাধার মুখে পড়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কালো পতাকা দেখানো, গো ব্যাক স্লোগান, বিক্ষোভ এমনকী গাড়িতে হামলার মতো ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয়েছে তাঁকে। অভিষেকের কথায়, ‘ত্রিপুরার বিজেপি ভয় পাচ্ছে। তাই আটকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে’।
এর পরই অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ‘প্রয়োজনে ত্রিপুরায় মাসে চারবার আসব। পারলে আটকে দেখান’। পাশাপাশি, এ রাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন কেমন হবে, কীভাবে মজবুত হবে দলের কাঠামো সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তার রূপরেখা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
ত্রিপুরাকে ‘পাখির চোখ’ করেছে তৃণমূল। ২০২৩ সালে এ রাজ্যের সরকার বদলের চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন অভিষেক। কিন্তু এখনও ত্রিপুরায় দলের সংগঠন সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়নি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ত্রিপুরায় তৃণমূলের রাজ্য সংগঠন তৈরি হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অভিষেক। দু’সপ্তাহ পর তিনি সে রাজ্যে ফের যাবেন। তখনই সংগঠনের কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করেবন বলে জানিয়েছেন। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে আরও জানিয়েছেন, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের ৩ হাজার ৩২৩টি বুথে পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি হয়ে যাবে।
তৃণমূলের কাছে ত্রিপুরা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এদিন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রয়োজনে মাসে ৩-৪ বার ত্রিপুরা আসব। দরকারে প্রতি সপ্তাহে আসব’। এর পরই বিজেপি নেতৃত্বকে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘যত লাঠি, বাঁশ, লোহার রড আছে জোগাড় করে রাখুন। আমাকে আটকাতে কাজে লাগবে। তবে এটা শুনে রাখুন, এভাবে আমাকে আটকানো যাবে না। যত তাতাবেন তত তৃণমূলের শক্তি বাড়বে, খিদে বাড়বে’। তাঁর বার্তা, ‘আজ ত্রিপুরায় পা রাখল তৃণমূল। এবার এই মাটিতে খেলা হবে’।