বিনা লড়াইয়ে বাংলা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেন জহর সরকার। সোমবারই ছিল রাজ্যসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করার শেষদিন। কিন্তু বিজেপির তরফে কোনও প্রার্থী দেওয়া হল না। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ রাজ্য থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেন প্রাক্তন আই এ এস অফিসার জহর সরকার।
নির্বাচিত হওয়ার পর প্রাক্তন বাঙালি আই এ এস আধিকারিক জানান, “কেন্দ্র সরকারের ত্রুটি সমালোচনার আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ পেলাম। যাঁকে নিয়ে এত সমস্যা এবার তাঁকে সামনে পাব।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলার নিন্দাও করেন তিনি। তবে জহরবাবু কবে রাজ্যসভার সাংসদ পদে বসবেন তা তিনি জানাননি।
রাজ্যসভার এই আসনটি ছেড়েছিলেন তৃণমূলের দিনেশ ত্রিবেদী। তার পর থেকে ফাঁকাই পড়েছিল এই আসন। মনে করা হচ্ছিল, এই আসনে মুকুল রায় কিংবা যশবন্ত সিনহাকে মনোনীত করবে তৃণমূল। কিন্তু তা হয়নি। বরং প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইওকে মনোনয়ন দেয় তৃণমূল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করলেন তিনি।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন দীনেশ ত্রিবেদী। নৈতিকতার খাতিরে রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ধার্য হয় আগামী ৯ আগস্ট। দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে তৃণমূল কাকে মনোনীত করে, সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। মনে করা হচ্ছিল, দীনেশের জায়গায় মুকুল রায় বা যশবন্ত সিনহার মতো কোনও পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদকে প্রার্থী করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূলের যা শক্তি তাতে জহরবাবুর নির্বাচিত হওয়া নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। সেই অঙ্কের কথা মাথায় রেখেই বিজেপি কোনও প্রার্থী দেয়নি। ফলে ৬৯ বছর বয়সি এই বাঙালি আই এ এস এবার রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হলেন।
ভেসে আসছিল যশবন্ত সিনহার নাম। বাজপেয়ী জমানার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কঠিন সময়ে মমতার পাশে ছিলেন। একুশের বিধানসভার আগে এরাজ্যের শাসকদলে যোগ দেন তিনি। লড়াইয়ে ছিলেন সদ্য তৃণমূল প্রত্যাবর্তন করা মুকুল রায়ও। তবে, সবাইকে চমকে দিয়েই জহর সরকারের নাম রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছে তৃণমূল।