অলিম্পিক্সে তাদের দ্বিতীয় পদকটি জিতল ভারত। পিভি সিন্ধুর হাত ধরে দ্বিতীয় পদক এল দেশে। ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে চিনের হি বিংজিয়ায়োকে হারিয়ে দিলেন তিনি। খেলার ফল ২১-১৩, ২১-১৫। সুশীল কুমারের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে অলিম্পিক্সে ব্যক্তিগত ইভেন্টে জোড়া পদক সিন্ধুর। শনিবারের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে যেন রবিবার খেলতে নেমেছিলেন সিন্ধু। নেটের সামনে খেলা হোক বা স্ম্যাশ, কোনও কিছুতেই প্রতিপক্ষকে জমি দিলেন না তিনি। লম্বা র্যালিতেও দাপট দেখালেন তিনিই। রবিবার সিন্ধুর লড়াইয়ের বিরুদ্ধে চিনের বিংজিয়ায়োর কাছে যেন কোনও উত্তরই ছিল না।
এদিন প্রথম গেমে সহজ জয়ের পর দ্বিতীয় গেমেও প্রথম পয়েন্ট নিয়েই শুরু করেছিলেন। তবে দ্বিতীয় গেমে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন বিংজিয়ায়ো। যদিও তা কাজে আসেনি। উচ্চতা কাজে লাগিয়ে কোর্টে নিজে বেশি না দৌড়ে চীনের প্রতিপক্ষকে পরিশ্রম করালেন সিন্ধু। রিয়োতে রুপো জয়ের পর টোকিয়োতে সোনার পদকের লক্ষ্যেই লড়ছিলেন সিন্ধু। কিন্তু সেমিফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর শাটলার চাইনিজ তাইপেইয়ের তাই জু-ইংয়ের কাছে হার মানতে হয় তাঁকে। তাই জুর দাপটের সামনে যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন ভারতের ব্যাডমিন্টন তারকা। তবে সোনার স্বপ্ন ভঙ্গ হলেও দেশকে ব্রোঞ্জ এনে দিলেন সিন্ধু। ভারোত্তোলনে মীরাবাই চানুর রুপো জয়ের পর, ব্রোঞ্জ এল ভারতের ঝুলিতে। বক্সিংয়ে নিশ্চিত হয়ে রয়েছে লভলিনা বড়গোহাঁইয়ের পদক। এ বারের অলিম্পিক্স থেকে তিনটি পদক নিশ্চিত ভারতের। আর কোনও পদক আসে কি না সেই দিকে নজর থাকবে সমর্থকদের।
উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত খেলায় দুটি অলিম্পিক্স পদক জিতে সিন্ধু ছুঁলেন নর্ম্যান প্রিচার্ড ও সুশীল কুমারকে। ভারতের হয়ে প্রথম জোড়া অলিম্পিক্স পদক জেতার নজির নর্ম্যান প্রিচার্ডের। এই ব্রিটিশ-ভারতীয় ১৯০০ সালের প্যারিস অলিম্পিক্সে দুটি পদক জিতেছিলেন। তাঁর দুটি পদকই রুপো। ২০০ মিটার এবং ২০০ মিটার হার্ডলসে রুপো জিতেছিলেন তিনি। এরপর এই নজির গড়েন সুশীল কুমার। তিনিও সিন্ধুর মতোই একটি রুপো ও একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। কুস্তিগীর সুশীলের প্রথম পদক ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিক্সে। ৬৬ কেজি ফ্রিস্টাইলে তিনি ব্রোঞ্জ জেতেন। এরপর ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক্সে একই বিভাগে তাঁর পারফরম্যান্স আরও ভাল হয়। রুপো জিতে নেন সুশীল।