বিজেপি-র যুব সংগঠনে ক্ষোভের আগুন নিভছে না। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে সংগঠনে ‘স্বৈরতন্ত্র’ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যস্তরের কয়েকজন নেতা। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে চিঠিও পাঠিয়েছেন তাঁরা। ই-মেল মারফত পাঠানো সেই অভিযোগ রাজ্য স্তরের অন্য বিজেপি নেতার পাশাপাশি গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও।
সৌমিত্রর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব যুব মোর্চার আরুশ সাহু, বনশ্রী মণ্ডল, ঝিলম বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকৃত ছবি পোস্টের অভিযোগে ২০১৯ সালে আলোচনায় আসা প্রিয়াঙ্কা শর্মাও। সেই সময়ে তাঁকে জেলেও যেতে হয়েছিল। দিলীপকে পাঠানো চিঠিতে প্রিয়াঙ্কারা লিখেছেন, ‘মাননীয় সাংসদ তথা রাজ্য যুব সভাপতি সৌমিত্র খাঁ মহাশয় যুব মোর্চাতে একনায়কতন্ত্র নীতি চালাচ্ছেন, বারংবার ভারতীয় জনতা পার্টির রীতিনীতিকে বুড়ো আঙুলে দেখিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো মেয়েদের যারা দু’মাস, ছ’মাস এই পার্টিতে এসেছেন তাঁদেরকে সরাসরি যুব মোর্চার রাজ্যের কোর কমিটিতে পদাধিকার দিচ্ছেন।’ একই সঙ্গে সৌমিত্রর বিরুদ্ধে মোর্চার পুরনো মহিলা কর্মীদের উপেক্ষার অভিযোগও তোলা হয়েছে।
এই বিতর্কের সূত্রপাত, মৌমিতা সাহা নামে এক মোর্চা নেত্রীকে রাজ্য সম্পাদক পদে সৌমিত্র মনোনীত করার পরে। বিদ্রোহীদের অভিযোগ, একটি মণ্ডলের সম্পাদক ছিলেন মৌমিতা। সেখান থেকে সরাসরি রাজ্য সম্পাদক করাটা রীতিবিরুদ্ধ। রাজ্য কমিটিতে পুরোনোরা থাকলেও মৌমিতাকে কেন ওই পদে বসানো হয়েছে, তা নিয়েই সরব বিদ্রোহীরা। মৌমিতাকে রাজ্য সম্পাদক হিসেবে নিয়োগের পরে গত বুধবার তাঁকে যুব মোর্চার অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত করা হয়। এর পরেই শুরু হয় বিতর্ক।