বৃদ্ধ-বৃদ্ধার খুনের ঘটনা এর আগেও বহুবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আবারও তার সাক্ষী থাকল, লেকটাউনের বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের বি ব্লক। সেখানকারই বাসিন্দা ছিলেন দীপা মুখোপাধ্যায়। ছেলে-মেয়েরা সবাই যে যার মতো আলাদা থাকেন। বাড়ির নীচের তলায় একাই থাকতেন বছর পঁয়ষট্টির ওই বৃদ্ধা। আত্মীয়-পরিজনদের দাবি, বেশ কয়েক দিন ধরে দীপার কোনও খোঁজ-খবর পাচ্ছিলেন না। কোনওভাবেই যোগোযাগ করা যাচ্ছিল না। শেষপর্যন্ত ২১ জুলাই সকালে বাঙুর অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে যান তাঁরা। এসে দেখেন, বাড়ির দরজা খোলা!
সন্দেহ করে খবর দেওয়া হয় লেকটাউন থানায়। পুলিশই প্রথম দরজা খুলে বাড়ির ভিতরে ঢোকে। গলায় গামছা জড়ানো অবস্থায় দীপা মুখোপাধ্যায়ের পচগলা দেহ উদ্ধার হয়। ঘর লন্ডভন্ড,আলমারিও ভাঙা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন, তারপর বাড়িতে রীতিমতো লুঠপাট চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
একাকী বৃদ্ধাকে কে খুন করল? তদন্তে জানা যায়, মাত্র ৪ দিন আগে ফ্ল্যাটে কাজের জন্য উত্তরপ্রদেশ থেকে এক যুবক এনেছিলেন দীপা মুখোপাধ্যায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করে পুলিশ। মৃতার ছেলের অভিযোগ করেছিলেন, ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই যুবক। এমনকী, বন্ধ করে রেখেছে মোবাইলও! তাতেই সন্দেহ আরও বাড়ে। উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর থেকে শেষপর্যন্ত অভিযুক্ত দীনেশ প্রসাদকে গ্রেফতার করল লেকটাউন থানার পুলিশ। সময় লাগল মাত্র দশদিন। লেকটাউনে বৃদ্ধাকে খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তকে। তার থেকে পাওয়া গেল মৃতার মোবাইল ফোন ও গয়না।