আগেই লোকসভায় পাস হয়ে গেছে ‘মানবপাচার রোধ, সুরক্ষা ও পুনর্বাসন বিল।’ এবার রাজ্যসভায় বিলটি পাস হলেই তা কঠোর আইনে পরিণত হবে। কিন্তু এই আইনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করতে চায় বলে দাবি তুলেছে কলকাতার যৌনকর্মীদের সংগঠন ‘দুর্বার’। এই আইনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছে তারা। শনিবার দুর্বারের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই আইনের বিরোধিতা করলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার খুব তাড়াতাড়ি একটি মারাত্মক বিল আনতে চলেছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে খুবই কার্যকরী একটি উদ্যোগ, কিন্তু আসলে কেন্দ্রের অভিসন্ধি অন্য। তাঁর বক্তব্য, পাচারের সবাই বিরোধী। কিন্তু তার জন্য এমন একটি বিল আসে আসছে যা যৌনপল্লীদের দিদি ও বোনদের রুজি-রুটি বন্ধ করে দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, যৌনকর্মীদের সংগঠন ‘দুর্বার’ এই নয়া বিলে কেন্দ্রের অন্য অভিসন্ধি দেখছে। তাদের দাবি, কোনও মেয়েকে জোর করে তুলে আনা হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু পাচার বিরোধী আইনের নামে পেশাটাই তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তুলেই কুণাল বলেন, ‘সোনাগাছিতেই ১০ হাজার দিদি ও বোন রয়েছেন। গোটা রাজ্যে প্রায় ৬৫ হাজার আর দেশে কয়েক লক্ষ। এই পেশায় কেউ স্বেচ্ছায় আসে না। প্রত্যেকেরই কোনও না কোনও লড়াই আছে। কিন্তু একবার যখন জীবনটাকে গুছিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে তখন তাদের পেটে লাথ মারার চেষ্টা হচ্ছে কেন।’ তাঁর দাবি, কোনও নাবালিকাকে জোর করে তুলে আনলে তার প্রতিবাদ করেন এই মা-বোনেরাই। তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অনেক সময় সেই মেয়েদের পরিবারই আর তাদের আশ্রয় দিতে রাজি হয় না। তখন যৌনপল্লীই হয় তাদের ঠিকানা। আর বিলে এইসব মেয়েদের রুজি-রুটির বিকল্প ব্যবস্থাও স্পষ্ট নয়।