‘দলের অত শক্তি নেই’, তাই রাজ্যসভার উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দেবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই নিষ্কণ্টক পথেই পুরোদস্তুর রাজনীতিক হিসাবে যাত্রা শুরু করলেন জহর সরকার। কিছুকাল আগে পর্যন্তও যিনি ছিলেন দুঁদে আমলা। গত বুধবারই তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন জহরবাবু। আর এদিন সেই মনোনয়ন পত্র গৃহীত হয়। যেহেতু আর কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতাতেই রাজ্যসভায় পা রাখছেন তিনি। এদিন টুইটে জহর সরকার লিখেছেন, ‘অবিস্মরণীয় দিন এই ৩০ জুলাই, ২০২১। আমার রাজ্যসভার সদস্যপদের জন্য মনোনয়ন গৃহীত হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বহুকাল ধরেই কট্টর মোদী-বিরোধী বলে পরিচিত জহর সরকার। এমনকী মোদীর বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রসার ভারতীর সিইও পদও ছেড়ে দিয়েছেন সময়ের আগেই। এবার সকলকে রীতিমতো চমকে দিয়ে সেই তাঁকেই নিজের দলের সৈনিক করে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, জহর সরকারের যেমন দক্ষ প্রশাসক হিসেবে সুনাম রয়েছে, তেমনি কট্টর মোদী বিরোধী মুখ হিসেবেও তাঁর নাম রয়েছে। সেই জহর সরকারকেই রাজ্যসভায় পাঠিয়ে মমতা রীতিমতো ‘ট্রাম্পকার্ড’ ব্যবহার করতে চলেছেন।