অবশেষে ১০ বছর ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর এবার ২০১১ সালের সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডের আরও একটি মামলায় রায় ঘোষণা করল আলিপুর আদালত। দীর্ঘ আট বছর ধরে মামলা চলার পর বিষমদ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশাকে মগরাহাট থানার দায়ের করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। বাকি সাত অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবার মহকুমার উস্তি-সহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিষমদ খেয়ে অন্তত ১৭৬ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একটি মগরাহাট ও অন্যটি উস্তি থানায়। পরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিষমদ কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে। তদন্তে উঠে আসে নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশার নাম। জানা যায়, যে চোলাই মদ খেয়ে এত মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল তা বানাত এই খোঁড়া বাদশা। তার স্ত্রী শাকিলা বিবিও এই কাণ্ডে জড়িত ছিল বলে জানা যায়। সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় ও পশ্চিমবঙ্গ আবগারি আইনে দু’মাসের মধ্যে চার্জশিট জমা করেছিল সিআইডি। ২০১৮ সালে সেই উস্তি থানার মামলার রায় হয় আলিপুর আদালতে। খোঁড়া বাদশা-সহ চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন আলিপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী। খোঁড়া বাদশার স্ত্রী শাকিলা বিবি-সহ ৬ জনকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়। উস্তির মামলার এই রায়ে দোষী সাব্যস্ত অভিযুক্তদের যাবজ্জীবনের সাজা দেওয়া হয়। আর দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল মগরাহাট থানায়। এতদিন ধরে এই মামলার শুনানি চলছিল আলিপুর আদালতে। আজ এই মামলায় খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আগামী সোমবার সাজা ঘোষণা করবে আদালত।