এবার আরও আধুনিক হতে চলেছে মেট্রো পরিষেবা। স্মার্ট কার্ড ছাড়া শুধুমাত্র কিউ আর কোড স্ক্যান করেই মেট্রো স্টেশনে প্রবেশের ব্যবস্থাপনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পার্ক স্ট্রিট এবং ময়দান স্টেশনে এই কাজ শেষও হয়ে গিয়েছে। করোনা কালে সংক্রমণের আশঙ্কায় এমনিই ব্রাত্য টোকেন। স্মার্ট কার্ডই একমাত্র ভরসা। প্রশ্ন উঠছে তবে কি কিউ আর কোড স্ক্যান করে মেট্রোয় ওঠা ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার পর পুরোপুরি অচল হয়ে যাবে টোকেন। সমস্যায় পড়ার চিন্তা বহু যাত্রী।
প্রসঙ্গত, স্মার্ট কার্ডের পাশাপাশি কিউ আর কোড স্ক্যান করে মেট্রোয় প্রবেশ নিয়ে ভাবনাচিন্তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগেই শুরু করেছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বরেই তা নিয়ে বৈঠক হয় একপ্রস্থ। যেমন ভাবনা, তেমনই কাজ। ঠিক সেই অনুযায়ী চলতি মাসে শেষ হল পার্ক স্ট্রিট এবং ময়দান স্টেশনে এই কাজ। কিউ রাও স্ক্যান করে ঠিক কীভাবে মেট্রো স্টেশনে ঢুকবেন যাত্রীরা? মনে করা হচ্ছে, কিউ আর স্ক্যান করার পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রে কোনও অ্যাপের বন্দোবস্ত করা হবে। যে কোনওরকম অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে তা ব্যবহার করা যাবে। যাত্রীকে সেই অ্যাপে উল্লেখ করতে হবে তাঁর গন্তব্য স্থল। তিনি কোন স্টেশন থেকে মেট্রোয় চড়বেন, তাও উল্লেখ করতে হবে। কত টাকা ভাড়া হবে, তা দেখিয়ে দেবে স্ক্রিনে। যাত্রীকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া দিতে হবে। অ্যাপের মাধ্যমে রিসিভিং মেসেজ পাবেন যাত্রী। তাতেই থাকবে কিউ আর কোড। তা এএফসি গেটে ধরলেই দরজা খুলে যাবে। যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রী।
উল্লেখ্য, করোনা কালে মেট্রোয় আমজনতা পরিষেবা পাচ্ছেন। যাতায়াত করতে পারছেন সকলেই। কিন্তু সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে টোকেন নেওয়া হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের স্মার্ট কার্ড বাধ্যতামূলক। এবার কিউ আর কোড পদ্ধতিও চালু করার জোর চেষ্টা চলছে। অনেকেরই প্রশ্ন, তবে কি কলকাতা মেট্রো থেকে টোকেন ব্যবস্থা পুরোপুরি উঠে যাবে? অল্পবয়সী যাত্রীরা তুলনামূলক অনেক বেশি টেকস্যাভি। তাই তাঁদের পক্ষে কিউ আর কোড ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বিশেষ সমস্যা হবে না। কিন্তু বয়স্ক মানুষদের মধ্যে এখনও অনেকেই ঠিকমতো স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে কিউ আর স্ক্যান করে তাঁরা কীভাবে যাতায়াত করবেন, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে কিউ আর কোড স্ক্যানের পদ্ধতি কবে থেকে চালু হবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। যাত্রী সুবিধার কথা মাথায় রেখে বিকল্প কোনও বন্দোবস্ত রাখা হবে কিনা, সে বিষয়েও জানানো হয়নি কিছুই।