কোভিডের প্রকোপ রুখতে রীতিমতো তৎপর রাজ্য। সংক্রমণ রুখতে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণের উপর। এর সুফল যে মিলছে, তা বলাই বাহুল্য। গত ২৪ ঘণ্টায় এক ধাক্কায় অনেকটা কমল দৈনিক মৃত্যু। নিম্নমুখী সংক্রমণও। এদিন করোনা প্রাণ কেড়েছে ৫ জনের। যা আগের দিনের তুলনায় অনেকটা কম। একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের ৭১১ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৮ শতাংশ।
স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১০১ জন উত্তর ২৪ পরগনার। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে ফের প্রথম স্থানে ওই জেলা, তবে সামান্য হলেও কমেছে সংক্রমণ। দ্বিতীয় স্থানে ফের কলকাতা। একদিনে সংক্রমিত সেখানকার ৭৪ জন। তৃতীয় স্থানে দার্জিলিং। একদিনে সেখানকার ৬৭ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। চতুর্থ স্থানে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৪৯ জন। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় কম বেশি রাজ্যের বাকি সব জেলা থেকেই নতুন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। একদিনে পজিটিভিটি রেট ১.৬৫ শতাংশ। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫,২৭,২৫০।
শুক্রবার করোনা প্রাণ কেড়েছে রাজ্যের ৫ জনের। মৃত্যুর নিরিখে প্রথম স্থানে জলপাইগুড়ি। একদিনে করোনার বলি সেখানকার ২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮,১২৮ জন। একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ৮৩৫ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৪,৯৭,১১৬। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৮.০৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৩ হাজার ২০৯ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১,৫৬,৮৮,২৬৫ জনের। বর্তমানে রাজ্যে সেফ হোমের সংখ্যা ২০০।