গত সোমবারই দুই রাজ্যের সীমানায় ব্যাপক অশান্তি ও সংঘর্ষের মাঝে পড়ে নিহত হন আসামের ৬ পুলিশকর্মী। আহত হন আরও প্রায় ৫০ জন। তার জেরেই এবার আসামের বাসিন্দাদের মিজোরাম যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আসাম সরকার। শুক্রবার একটি নির্দেশিকায় এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
আসাম সরকারের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ‘সীমানায় সংঘাতের পরও কয়েকটি মিজো সিভিল সোসাইটি, ছাত্রছাত্রী ও যুব সম্প্রদায় ক্রমাগত অসমের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে চলেছে। অসম পুলিশের হাতে উঠে আসা একটি ভিডিও ফুটেজে দেখাও গিয়েছে যে সাধারণ বাসিন্দারা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। সে কারণেই কোনও কাজে মিজোরামে আসামের বাসিন্দাদের যাতায়াত বন্ধ রাখতে বলা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, দুই রাজ্যে দীর্ঘদিনের এই বিবাদের মাঝেই আসাম ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁদের সমস্যার সমাধান করতে বলেছিলেন। সূত্রের খবর, উভয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও জোরামথাঙ্গা তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। আপাতত দুই রাজ্যের মধ্যেই দোষারোপের পালা চলছে।
আহতদের হাসপাতালে দেখার পর আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ট্যুইট করেছিলেন, ‘মিজোরাম গতকাল যা করেছে, আমরা তা করতে পারব না। আমরা কখনও ভারতীয়দের বিরুদ্ধে গুলি ব্যবহার করব না। ওটা আমাদের ডিএনএতে নেই। মিজোরামের সঙ্গে আমাদের কোনও রাজনৈতিক লড়াই নেই। কিন্তু গতকালের পিছনে কারণ আছে।’
কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হিমন্ত দাবি করেন, গত কয়েক মাসে মিজোরাম থেকে অনুপ্রবেশ এবং গবাদি পশু পাচার রুখে দিয়েছে আসাম। যদিও তাঁর দাবি উড়িয়ে দিয়ে মিজোরামের তরফে দাবি করা হয়েছে, আসাম পুলিশই মিজোরামের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে গুলি চালিয়েছে। তার পালটা জবাব দিয়েছে মিজোরাম পুলিশ।