পেগাসাস নিয়ে তোলপাড় দেশ। এবার সেই ইস্যুতেই সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধান বিচারপতি এনভি রামান্নাকে চিঠি লিখলেন ৫০০ নাগরিক। তাঁদের মতে, এটা সাইবার যুদ্ধ ছাড়া আর কিছু নয়। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, এই দেশে যেন পেগাসাস স্পাইওয়্যারের কেনাবেচা, লেনদেন, ব্যবহার অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই দিকে বিশেষ নজর দিতেও অনুরোধ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে। ৫০০ জন নাগরিকের সই করা ওই চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, পেগাসাস সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর কর্তৃপক্ষের কাছে চাইতে হবে সুপ্রিম কোর্টকে। শীর্ষ আদালতের কাছে জবাবদিহি করতে হবে কেন্দ্রকে। জবাব চাইতে হবে ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-র কাছেও। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের শীর্ষ আদালতকে জানাতে হবে এই পেগাসাসের বিষয়ে।
চিঠির বয়ান অনুযায়ী, “যাঁরা পেগাসাসের আড়িপাতার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের নামের তালিকা দেখে আমরা স্তম্ভিত। শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবী, সমাজকর্মী, ভোটকৌশলী– কে নেই তাতে। এমনকি যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া তরুণীও নজরদারির আওতায়! পেগাসাসের শিকড় খুঁজতে গিয়ে দেখা গিয়েছে যাঁদের নিশানা করা হয়েছিল, তাঁদের ফোন থেকে তথ্য চুরি করে পাঠানো হয়েছে অন্য কোনও ফোনে।” কয়েক দিন আগেই সামনে আসে পেগাসাস কেলেঙ্কারি। জানা যায়, দেশের বহু মানুষের নম্বর রয়েছে ইজরায়েলি এই ম্যালওয়্যারের হাতে। সেই নম্বরগুলিতে নিয়মিত চলছে আড়ি পেতে তথ্য হাতানোর কাজ।
এছাড়াও পেগাসাস ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এসবের মধ্যেই নাগরিকদের এই সরাসরি চিঠি আরও জোর বাড়াল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে কয়েকদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের আবেদন জানিয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, বিজেপির শাসনে গণতন্ত্র বিপন্ন। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে এই পেগাসাস ইস্যুর তদন্তের দাবি তুলেছেন রাহুল গান্ধীও।