করোনা নিয়ে কড়াকড়ি চলছে ত্রিপুরায়। দুপুর ২টোর পর থেকে কার্ফু জারি রয়েছে। শনি ও রবিবার বেশকিছু বিধিনিষেধও জারি থাকবে সেখানে। এই অবস্থায় আগরতলায় গেলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই পিছিয়ে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধায়ের ত্রিপুরা সফর। আজ আগরতলায় যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। সব প্রস্তুতির পরেও শেষ মুহূর্তে বাতিল হয় তাঁর যাত্রা। সোমবার যাবেন তিনি।
ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোর-সহ আইপ্যাকের কর্মীদের ‘বন্দী’ করে রাখার অভিযোগ তুলে, তাঁদের মুক্ত করতে ত্রিপুরায় পৌঁছেছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বুধবার আগরতলা পৌঁছেছিলেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় পৌঁছেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
এর পরে গতকাল, বৃহস্পতিবারই স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করেন তাঁরা। অভিযোগ, হঠাৎ করেই সেখানে হাজির হয়ে যায় ত্রিপুরা পুলিশ। ১০০ জন পুলিশ কর্মী গোটা এলাকা ঘিরে ধরে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। পুলিশ তাঁদের কাছে জানতে চায়, কীসের বৈঠক, কেন বৈঠক।
ঋতব্রত অভিযোগ করেন, যারা হোটেলে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন, তাঁদের পরিচয়পত্র জমা রাখতে হচ্ছে। আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতির কথায়, আসলে বিজেপি স্নায়ুর জোর রাখতে পারছে না। তাই এসব করছে। ব্রাত্য বসু এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা কি জঙ্গি!’ শুধু তাই নয়, বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘জুলুমবাজির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। এবার ত্রিপুরায় মানুষ কাজ চাইছে। ত্রিপুরার সরকার তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে।’