শহরে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯৯%। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৫৮.৮ মিলিমিটার।
কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকলেও আজ শুক্রবার থেকে কমতে পারে বৃষ্টির প্রকোপ। হাল্কা বৃষ্টির জেরে অবশ্য জলমগ্ন এলাকাগুলি আরও সমস্যায় পড়তে পারে। তবে ভারী বৃষ্টি এদিন কলকাতায় হবে না বলেই মনে করছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে অবস্থান করছে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ। সেটি পশ্চিম দিকে এগিয়ে ঝাড়খণ্ড হয়ে, দক্ষিণ বিহার ও উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণ অংশে পৌঁছবে বলে জানা গেছে।
এর জেরে আজও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। প্রবল বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম বর্ধমান ও পুরুলিয়া জেলায়। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা পশ্চিম মেদিনীপুর বাঁকুড়া ও বীরভূম জেলাতেও। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে।
দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি ক্রমশ বাড়বে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার– এই দুই জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির ওপরের দিকের এই পাঁচ জেলাতেই বৃষ্টি হবে।
মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি হবে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারেও। শুক্র ও শনিবার প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা ঝাড়খণ্ডে। ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টির ফলে জলাধার এবং সংলগ্ন বাংলার নদীর জলস্তরও অনেকটাই বেড়ে যাবে। শনিবার ছত্তীসগড় এবং রবিবার মধ্যপ্রদেশে প্রবল বৃষ্টির সর্তকতা।
তবে কলকাতা-সহ বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলিতে বৃষ্টির প্রকোপ কমবে। শনিবার পর্যন্ত এমনই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে মৎস্যজীবীদের আগামী ২৪ ঘণ্টায় সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।