এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ভিজিল্যান্স ডিপার্টমেন্টকে চিঠি দিল সিবিআই। রোজভ্যালি আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় তৎকালীন ইডির তদন্তকারী দলের মধ্যে কয়েকজন অফিসারের এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে, এবার তাঁদের নামের তালিকা পাঠানো হল ভিজিল্যান্স বিভাগের কাছে। সিবিআইয়ের তরফে সুপারিশ করা হয়েছে ডিপার্টমেন্ট যেন এই অফিসারদের ভূমিকা খতিয়ে দেখে এদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি সিবিআইও রোজভ্যালি কাণ্ডে ইডির সন্দেহজনক অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে রিপোর্ট পাঠাবে ইডির কাছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সিবিআই-এর দিল্লির হেডকোয়ার্টারে উচ্চপর্যায়ের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সারদা, রোজভ্যালি সহ রাজ্যের চিটফান্ড দুর্নীতিগুলির মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। এরপরই তদন্তকারী দলগুলির বহু অফিসারকে বদলি করা হয়। তারপরেই সিবিআই তৎপর হয়ে উঠেছে এই মামলাগুলি নিয়ে।
উল্লেখ্য, তৎকালীন ইডির তদন্তকারী দলের কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রথম নয়। এর আগেও রোজভ্যালি সংস্থার মালিক গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুকে তদন্তে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ইডির এক সিনিয়র অফিসার মনোজ কুমারের বিরুদ্ধে। কলকাতা পুলিশ শেক্সপিয়র সরণী থানার একটি প্রতারণা ও তোলাবাজির মামলায় গ্রেফতারও করেছিল মনোজ কুমারকে। পরে তিনি জামিনও পান। সিবিআই-ও তদন্তে নেমে রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মনোজ কুমার ও আরো বেশ কয়েকজন ইডি অফিসারের যোগাযোগের খোঁজ পায়। বিগত ২০১৩ সালে রোজভ্যালি সংস্থার আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি সামনে আসে। বিভিন্ন পনজি স্কিমের মাধ্যমে বাজার থেকে ২৩০০ কোটি টাকা তোলার অভিযোগ সামনে আসে। তদন্তে নামে বিধাননগর পুলিশ। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করা হয়। রোজভ্যালি, সারদার মতো সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে সিট। রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডু গ্রেফতার হন। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তভার হাতে নেয়। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ ছিল, এই কেলেঙ্কারিগুলির সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত। তাই সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাই এই তদন্ত করতে পারে।