একুশের বিধানসভা ভোটে মহিলা ভোটারদের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৩-এ ত্রিপুরা দখলের ক্ষেত্রেও সেই মহিলা ভোটকেই টার্গেট করেছে তৃণমূল। বিপ্লব দেবের পদ্ম বনে ঘাসফুল ফোটাতে, তাঁদের লক্ষ্য সেই মা-বোনরাই।
‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’, ‘বিধবা ভাতা’-এ রাজ্যে মহিলাদের সুবিধার্থে বহু প্রকল্প এনেছে তৃণমূল সরকার। একুশের ভোট প্রচারে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নামে আরও এক প্রকল্প ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।একুশের বিধানসভা ভোটে বিভিন্ন সভা থেকে বারবার তৃণমূল সুপ্রিমোকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘কি মা-বোনের খেলা হবে তো? হাতা-খুন্তি নিয়ে বিজেপিকে রুখে দেবেন তো? তৃণমূলকে ভোট দেবেন তো?’ মমতার এই আর্জি ব্যর্থ হতে দেননি রাজ্যের মহিলারা। মুখ্যমন্ত্রীর মা-বোনেরা ‘বাংলার মেয়ে’র উপর ভরসা রেখেছেন। তথ্য বলছে, তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনের অন্যতম হাতিয়ার নাকি বাংলার মহিলা ভোট। এবার টার্গেট ত্রিপুরা। তাই সেখানে দলের সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে বৃহস্পতিবার সে রাজ্যে উড়ে যান তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের প্রধান কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সূত্রের খবর, ত্রিপুরায় তৃণমূলের মহিলা শাখার নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করবেন তিনি। আগামী দিনে ত্রিপুরায় মহিলাদের নিয়ে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের।
এই প্রসঙ্গে মহিলা তৃণমূলের প্রধান কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘গত ৫ বছরে ত্রিপুরাকে শেষ করে দিয়েছে বিজেপি। হাজার হাজার মানুষের চাকরি চলে গিয়েছে। মানুষের উপর অত্যাচার চলছে। সেখানকার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার গঠন করতে চাইছে। তাই আমরা যাচ্ছি’। অভিযোগ, তৃণমূলের হয়ে ত্রিপুরায় সার্ভে করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে আই প্যাক-এর টিম। তাঁদের গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে আগরতলায় যান ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে যান তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার। শুক্রবার ত্রিপুরায় যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।