রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। যে আসনে আগামী ৯ আগস্ট নির্বাচন হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই আসনে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও, অবসরপ্রাপ্ত আমলা জহর সরকারকে প্রার্থী করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, তাঁরাও এই আসনে প্রার্থী দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কিন্তু রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবে না বিজেপি বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘দলের অত শক্তি নেই’।
শুভেন্দু অধিকারী জানান, শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে অনেকটা ফারাক রয়েছে। এখানে বিজেপির শক্তি কম। তাই রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবে না বিজেপি। আজই বিধানসভায় রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জহর সরকার। তারপরই জহরবাবু বলেন, ‘যা চলছে তা দেখে চুপ করে থাকা যায় না। ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর আঘাত নেমে এসেছে। রাজনীতি আগে কখনও করিনি। তবে নোটবন্দী এবং জিএসটির বিরোধিতা করেছি। এবার একটি মঞ্চে বলার সুযোগ পাব। ১৬ বছর নয়াদিল্লীতে কাজ করেছি। এই রাজ্যের কথা যেভাবে নয়াদিল্লীতে বলা দরকার, তেমন গভীরে গিয়ে আলোচনা হয় না। সেই কাজটা করতে পারলে ভাল লাগবে।’
বিজেপি চেয়েছিল রাজ্যসভার আসনে প্রার্থী দিয়ে মুকুল রায়ের অবস্থান প্রকাশ্যে আনতে। কিন্তু এতটাই শক্তি কম যে সেটা করতে গিয়েও মুখে চুন–কালি পড়বে। তাই রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তত সম্মানটা বজায় থাকবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তবে এক্ষেত্রে জানা যাবে না মুকুল রায় কাকে ভোট দিলেন।