গরীব কৃষক পরিবারের মেধাবী কন্যা দীপ্তি। মহারাষ্ট্রের রত্নগিরি জেলার ছোট্ট গ্রাম জারিয়ের বাসিন্দা সে। অর্থের অভাবে ঊনিশ বছরের সেই দীপ্তির বিশ্বাসরাওয়ের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যেতে বসেছিল। শেষ পর্যন্ত ত্রাতা হয়ে এগিয়ে এসেছেন মাস্টার ব্লাস্টার শচীন তেন্ডুলকর ও তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
লকডাউনের সময়ে কয়েক কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি থেকে অনেক দূরে গিয়ে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পেতেন দীপ্তি। না হলে অনলাইন ক্লাস করা বন্ধ হয়ে যেত তাঁর। ইন্টারনেট সংযোগের জন্য পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেতে পারত। জাতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৫৭৪ পেয়েছিলেন দীপ্তি।
তার ভিত্তিতেই আকোলার সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পান তিনি। কিন্তু আর্থিক সঙ্গতি ছিল না পরিবারের। আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে ভর্তি হলেও হস্টেল ও অন্যান্য খরচ চালানোর অর্থ ছিল না দীপ্তির কাছে। এ খবর জানতে পেরেই মেধাবী ছাত্রীর পাশে এসে দাঁড়ান স্বয়ং শচীন। ফলে ডাক্তারি পড়ার স্বপ্নে একধাপ এগিয়ে গেলেন দীপ্তি।
শচীন টুইট করে লিখেছেন, ‘‘স্বপ্নকে তাড়া করে সফল হওয়ার উদাহরণ দীপ্তি। ওর জীবন কাহিনি অনেককেই প্রেরণা দেবে প্রতিকূলতার মধ্যে এগিয়ে চলার। দীপ্তির জন্য শুভেচ্ছা রইল।’’
এই মেধাবী ছাত্রী বলেছেন, ‘‘শচীন তেন্ডুলকরের সংস্থা আমাকে স্কলারশিপ না দিলে ডাক্তারি পড়া দায় হয়ে যেত! এ বার মন দিয়ে পড়তে পারব। আমার স্বপ্ন সফল হয়েছে। বড় চিকিৎসক হতে চাই। ভবিষ্যতে সেবা করতে চাই অসহায় মানুষের।’’