ইয়েদুরাপ্পার পা ছুঁয়েই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিজেপি নেতা বাসবরাজ বোম্মাই। রাজ্যের ২৩ তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বুধবার শপথ নেবেন তিনি। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা এবং রাজ্যপাল থাওয়ার চন্দ গেহলত।
এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ কর্ণাটকের রাজভবনে শপথ নেন তিনি। তবে শপথ নেওয়ার আগে ইয়েড্ডির চরন স্পর্শ করেন। বোম্মাইয়ের কথায়, ‘আজ ক্যাবিনেট বৈঠক করব। তারপর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক রয়েছে। কোভিড এবং বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করব। পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে’।
প্রসঙ্গত, লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের দাবি মেনেই বিজেপি মন্ত্রীসভা বৈঠকে বাসবরাজ বোম্মাই নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, সংখ্যাগুরু লিঙ্গায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে ইয়েদুরাপ্পার পর আরও এক লিঙ্গায়েত নেতাকেই বেছে নিল বিজেপি পরিষদীয় দল। আর তাই কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বাসবরাজ বোম্মাই।
দু’ বছর মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার পর ২৬ জুলাই পদত্যাগ করেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। কর্ণাটকের রাজনীতি বরাবরই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নেয় জাতপাত। ইয়েদুরাপ্পা সরে যাওয়ার জল্পনার মধ্যেই প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় তাঁকেই সমর্থন করেছিল। যদিও এ ক্ষেত্রে বিপক্ষ ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের তরফে কাউকে মুখ্যমন্ত্রীত্বের দৌড়ে রাখা হতে পারে কিনা, তা নিয়েও জল্পনা চলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপি লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের দাবিই মেনে নিল গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, বাসবরাজের বাবা সোমাপ্পা রায়া্প্পা ছিলেন বোম্বাই ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। জে ডি ইউ দলের হয়ে রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন বাসবরাজ। টিকিটে লড়ে ১৯৯৮ এবং ২০০৪ সালে পরপর দু’বার বিধায়কও হন তিনি। ২০০৮ সালে জেডিইউ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এরপরই আসে মন্ত্রীত্ব। ফের ২০১৯ সালে কর্ণাটকে বিজেপি সরকার গড়ার পরই আবারও মন্ত্রী হন বাসবরাজ বোম্মাই। সমবায়, আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।