অবশেষে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্যকে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দেওয়ার সুযোগ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যকে ওই হলফনামা আদালতে জমা দিতে হবে। তবে এটাই রাজ্যের জন্য শেষ সুযোগ বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বৃহত্তর বেঞ্চের বিচারপতিরা। অন্য দিকে, ভোট পরে হিংসার কারণে নিহত অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট বুধবার জমা পড়েছে আদালতে।
প্রসঙ্গত, হাই কোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট তৈরি করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গত সপ্তাহে সেই রিপোর্ট আদালতে জমা হয়। ওই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে রাজ্যের তরফ থেকেও হলফনামা জমা দেওয়া হয়। কিন্তু বুধবার রাজ্য জানায়, কমিশনের অভিযোগগুলির বহর এতই বেশি যে তাতে আরও একটি হলফনামা জমা দেওয়া প্রয়োজন। রাজ্যের ওই আবেদন মেনে নেন পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। সেই মতো রাজ্যকে আরও তিন দিন সময় দেওয়া হয়। তবে এর আগে হলফনামায় রাজ্য কমিশনের একাধিক সদস্যের পূর্ব রাজনৈতিক যোগ রয়েছে বলে দাবি করে। এমনকী সেখানে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। রাজ্যের ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার মামলাকারীদের আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, “কমিশনের সদস্যদের বিরুদ্ধে দল গঠনের সময়ই অভিযোগ করতে পারত রাজ্য। তখন তারা এ নিয়ে মন্তব্য না করে রিপোর্ট আসার পর এখন বলছেন।”
পাশাপাশি, বুধবার ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ রিপোর্ট মুখ বন্ধ খামে আদালতে জমা হয়। রিপোর্টটি জমা দেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর। নমুনা-সহ ডিএনএ পরীক্ষার যাবতীয় তথ্য কলকাতার কম্যান্ড হাসপাতালে সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেয় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২রা আগস্ট।