রাজ্যে করোনা সংক্রমণ কমলেও এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। তার উপরেই ফের তৃতীয় ওয়েভ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। ফলত এখন থেকে সাবধান হওয়ার কথা বলছেন গবেষকরা। কিন্তু সে কথা কানে নিচ্ছেন না অনেকেই। করোনা বিধিকে অম্যান্য করেই চলছে জীবনযাপন। তাই, পুলিশকে আরও কড়া হওয়ার নির্দেশ দিল নবান্ন!
গত কয়েকদিন আগেই রাজ্যের তরফে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়। বিশেষ করে রাত ৯টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত কড়া বিধিনিষেধ মানার কথা বলা হয়। সেই মতো পুলিশকেও নাকা চেকিং চালানোর কথা বলা হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাধারণ মানুষ করোনা বিধিকে উপেক্ষা করেই রাস্তায় বের হচ্ছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে করোনা বিধিকে অমান্য করছে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাও। গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে সেগুলি। ফলে মানুষজনও ক্রমশ ভিড় জমাচ্ছেন সেই জায়গায়। ফলে নতুন করে ফের একবার সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা। আর সেই আশঙ্কা থেকে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকে আরও কড়া হওয়ার নির্দেশ নবান্নের। আজ মঙ্গলবার মুখ্যসচিব এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টিকাকরণে জোর দিতে নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের। সমস্ত পুলিশ কমিশনার, জেলা পুলিশ সুপারদের আরও কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে কড়া শাস্তি দেওয়ার বিধানও দেওয়া হয়েছে। নবান্ন মনে করছে শুধু কলকাতা নয়, জেলাগুলিতেও একই অবস্থা। সেখানেও করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে অবাধ ঘরাঘুরি। রাত ৯টার পরেও চলছে সমস্ত কিছু।
আর সেদিকে তাকিয়েই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে পুলিশকে আরও কড়া হওয়ার নির্দেশ। জারি করা নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, রাত ৯টা থেকে পুলিশকে আরও কড়া হতে হবে। এছাড়াও নজরদারি আরও বাড়ানোর কথা অলা হয়েছে। জেলা সহ কলকাতাতে নাকা চেকিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহে শুক্র, শনি এবং রবিবার শহরের বিভিন্ন রাস্তাতে নাকা চেকিং শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। গত তিনদিনে ১০০টিরও বেশি মামলা রুজু করা হয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় সাধারণ মানুষের দাপাদাপির ছবিও ধরা পড়েছে। বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাতেও হানা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আবগারি দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে এই তল্লাশি চালানোর নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় আরও কড়া হল এবার।