সংসদের চলতি অধিবেশনে একদিনও ঠিকঠাক সভা চলেনি। পেগাসাস ইস্যুতে তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধী দলের হইচইয়ের জেরে বারবার মুলতবি হয়েছে অধিবেশন। মঙ্গলবারও তার অন্যথা হল না।
দিল্লিতে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই তৃণমূল কংগ্রেস দলগতভাবে আরো বেশি সক্রিয়। সংসদে তৃণমূলের রণনীতি কী? জানতে মঙ্গলবার সকাল নটায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সূত্রের খবর, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে দলের মনোভাব নরম করার অনুরোধ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। যদিও রাজনাথকে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন দল পিছু হটছে না।
তৃণমূল পেগাসাস ইস্যুতে আলোচনা চাইছে সংসদে। তারাই স্পষ্টই বলছে, সরকারের উচিত অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া। যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোর-সহ একাধিক নেতার ফোনে আড়িপাতা হয়েছে, তা কোনও মতেই মেনে নেবে না তৃণমূল। অতএব তৃণমূলের স্পষ্ট মত, সংসদের অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে চালাতে হলে অবিলম্বে সরকারের তরফে বিবৃতি দিতে হবে। বিবৃতি দেওয়ার সময় সংসদে উপস্থিত থাকতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।
একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, পেগাসাস ইস্যুতে তদন্তের নির্দেশ দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। উল্লেখ্য, সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী টুইট করে পেগাসাস কান্ড খোলাসা করেন। তারপর থেকে ক্রমেই পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ঠিক আছে কাণ্ডে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস অভিনবত্বের সঙ্গে প্রতিবাদ জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিবৃতিপত্র ছিনিয়ে তা ছিঁড়ে দেওয়ার ঘটনায় রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন সাসপেন্ড হয়েছেন। এই ঘটনায় তৃণমূলের প্রতিবাদের রেশ আরো বেড়েছে।
অন্যদিকে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে রয়েছেন। তিনি নিজেই তাঁর কর্মসূচি ঠিক করেন। বিজেপি-বিরোধী দলগুলোর নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন মমতা। সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলবেন’।