এখনই কার্যকর হচ্ছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন৷ কারণ সিএএ কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় বিধি তৈরি করতে নতুন করে ফের সময় চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ অমিত শাহের মন্ত্রকের তরফে আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সিএএ কার্যকর করতে সময় চাওয়া হয়েছে৷ ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হয়েছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন৷ যে কোনও আইন পাস হওয়ার পর ছ’ মাসের মধ্যে বিধি তৈরি হয়ে যায়৷ কিন্তু সিএএ আইন প্রণয়নের পর সেই সময়সীমা অনেক দিন আগেই অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে৷
এ দিন সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবেই নতুন করে সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷ লোকসভা এবং রাজ্যসভার সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে এই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকের তরফে আবেদন করা হয়েছে৷ সেখানে ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সিএএ কার্যকর করার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন করোনা অতিমারি নিয়ন্ত্রণে এলেই সিএএ বিধি তৈরির কাজ শেষ করে ফেলা হবে৷ কারণ সিএএ কার্যকর করতে না পারলে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরেও চাপ বাড়ছে৷ কারণ সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র অন্যতম মূল অস্ত্র হয়ে উঠেছিল৷ সিএএ কার্যকর করতে দেরি হলে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে মতুয়াদের সমর্থন হারানোর আশঙ্কা রয়েছে বিজেপি নেতাদের মনে৷
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা এ দেশে এসে আশ্রয় নিলে তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷ ইতিমধ্যেই লোকসভা এবং রাজ্যসভার সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে সিএএ কার্যকর করার জন্য একাধিকবার সময় সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷
কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা যদিও এ ভাবে নতুন প্রণয়ন হওয়া আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিলম্ব হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলিকে চিঠি দিয়েছেন৷ সেই চিঠিতে তিনি বলেছিলেন, আইন প্রণয়নের দু’ মাসের মধ্যে তার জন্য প্রয়োজনীয় বিধি তৈরি করে ফেলা উচিত৷